পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRS মানিক গ্ৰন্থাবলী মা বলেন, “তুই কিছু মনে করিসনে বাবা।” ক্রিষ্টপ চমকাইয় ওঠে, “কি বলছি তুমি ? ‘বলছি কি, ওঁর নানারকম বাতিক। উনি কি বলেন, কি করেন তাতে তুই द्मां कब्रिग:न दाद !' “ও, এই কথা ।” ক্রিষ্টপ স্বস্তি বোধ করে। প্ৰথমে তার মনে হইয়াছিল মণীশদের বাড়ী হইতে খবরটা বুঝি। এ বাড়ীতে আসিয়া পৌছিয়াছে - এবং মা তাকে সান্তুনা দিতে আসিয়াছেন। বলিতে আসিয়াছেন, তুই ভাবিসনে বাবা, কুন্তলার চেয়ে লক্ষগুণে সুন্দরী লেখাপড়া গানবাজনা-জানা বোঁ তোর জন্য এনে দেব! \ একবার এক মুহুর্তের জন্য ক্রিষ্টপের মনে হইল, মাকে বলিলে কেমন হয় ? মার কাছে তার মনের কথা জানিয়া বাবা যদি মণীশের কাছে নূতন করিয়া বাঙ্গালী প্ৰথায় আবার প্রস্তাবটা উত্থাপন করেন, কোন ফল হওয়ার আশা আছে কি ? তারপর মণীশের কথা ভাবিয়া ত্ৰিষ্টুপের মুখে মৃদু হাসি দেখা দিল। অত সহজে মণীশের মত বদলায় না। মণীশ শান্ত, কিন্তু বড় শক্ত। না ভাঙ্গিয়া ওকে মাচকানো যাইবে কিনা সন্দেহ । তার চেয়ে বরং রামলার সঙ্গে পরামর্শ করিলে কাজ দিতে পারে । বিকালে ক্রিষ্টপ রমলাদের বাড়ী যাওয়ার জন্য বাহির হইয়াছে, পথের মোড়ে। মণীশের সঙ্গে দেখা হইয়া গেল। হঠাৎ কি যে খেয়াল চাপিল ক্রিস্টুপের ! “মনিদা ? “কি খবর তিষ্ট।” কেমন একটু লজ্জা আর অস্বস্তি বোধ হইতেছে, মুখ তুলিয়া মণীশের চোখের দিকে চাহিতে পারিতেছে না। ক্রিষ্টপ আশ্চৰ্য হইয়া গেল, তারও লজ-সঙ্কোচ • स्राgछ । “ম বলছিলেন, কুন্তলাকে একবার দেখতে চান। পাঠিয়ে দেবেন ? মণীশ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। তার মুখ গভীর হইয়া গিয়াছে। ‘তুমি কি মাকে বলেছ ?” “তবে হঠাৎ- ? ‘কুন্তলার কথা মাঝে মাঝে মাকে বলতাম-এমনি কথায় কথায়। সেইজন্য