পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদায়ের ইতিহাস RRG হয়তো দেখতে ইচ্ছে হয়েছে মেয়েটি কেমন।” গায়ের জোরে মুখ তুলিয়া ক্রিষ্টপ সোজা মণীশের চোখের দিকে তাকায়, “হয়তো অন্য কথাও ভাবছেন, বলতে *ांत्रि ना ।” “আচ্ছা, কুন্তলাকে বলব।’ “আমার কোন মতলব নেই মনিদা ।” “তোমার কি মতলব থাকবে ।” “আপনি যদি কিছু ভাবেন, আপনার যদি ভয় হয় তাই বলছিলাম।” মণীশ শান্তভাবে সহানুভূতির সঙ্গে বলিল, “এখনো তোমার মন শাস্ত হয়নি তিষ্টি ? এতো ভারি দুঃখের কথা হল ।” ক্ৰিষ্টুপ প্ৰাণপণ চেষ্টায় একটা অদ্ভুত হাসি হাসিল। ‘না না, ভাববেন না । ওসব কিছু নয় । রামলাদের বাড়ী পৌছানো পৰ্যন্ত সমস্ত পথ ত্রিষ্টপ শুধু বুঝিবার চেষ্টা করিয়া গেল, হঠাৎ তার এই পাগলামী করার মানে কি ? মণীশকে মিথ্যা বলিয়া কুন্তলাকে দু’একবার বাড়ীতে বেড়াইতে আনিয়া তার লাভ কি ? নিজের মনের কথাটা নিজের কাছেই ত্ৰিষ্টপের ক্রমে ক্ৰমে পরিষ্কার হইয়া উঠিতে লাগিল। প্ৰথমে সে ভাবিয়াছিল, আর কিছু নয়, মাঝে মাঝে বাড়ীতে আনিয়া কুন্তলাকে বশ করিবে । যেন সুযোগ পাইলেই মেয়েদের বশ করা যায়। তারপর চিন্তাটা আরও স্পষ্ট হইয়া উঠিল। ওরকম বশ করিয়া কি কোন লাভ হইবে মণীশের বোনকে ? বশীকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও কি মণীশের বোন বলিবে না। “আমি কিছু জানি নে, দাদাকে জিজ্ঞেস করুন ? কুন্তলা যে এখন তাকে ভালবাসে না। তাই বা কে বলিল ! ভালবাসিয়াও হয়তো সে বলিয়াছে, দাদার কথাতেই তার মরণ-র্বাচন, তার নিজের কোন পৃথক ইচ্ছা নাই । মণীশকে ত্ৰিষ্টপের রূপকথার দানবের মত মনে হয়- তার রাজকন্যাকে সে ঘুম পাড়াইয়া রাখিয়াছে। এমন ঘুম পাড়াইয়াছে যে, রাজপুত্ৰ আসিয়া জাগাইলেও, সে জাগে না - জাগিয়াও তন্দ্রার মোহে আচ্ছন্ন হইয়া থাকে । কিন্তু কুন্তলাকে জাগানো চাই, মণীশের মন্ত্রের প্রভাব ব্যর্থ করা চাই। যদি চাই - তবে দোষ কি ? কি দোষ এমন অবস্থা সৃষ্টি করিতে, যখন তাকে বিবাহ করা ছাড়া উপায় থাকিবে না, তার সঙ্গে কুন্তলার বিবাহ দেওয়া ছাড়া মণীশের কোন উপায় থাকিবে না ? ভাবিলেও ত্ৰিষ্টপের মাথা বিম-ঝিম করে, গলা শুকাইয়া যায়। দাতে দাত बांबिब-{७)-»e.