পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`ጳፃw शांब्रिक थंहांबळी বৈঁহিরে দরজার পাশে দাড়াইয়া থাকার ধৈৰ্য মনােরমার নাই। ब्रांस्कूलों ? ১। রাজকুমার সাড়া দিতেই কালী ঘরে আসিল । মসলা নিন। প্ৰতিফলিত আবছা আলোয় হাত বাড়ানো দেখা যায়। রাজকুমারের হাতের তালুতে মনোরমার সযত্নে প্ৰস্তুত মসলা দিয়া কালী বলিল, আঁধার দেখে এমন ভয় করছিল ! জানি আপনি আছেন, তবু ভাবছিলাম, যদি না থাকেন ? আঁধারে আমি বড় ডরাই। আলোটা জালো । জালবো ? কালী বোকা নয়, কিছু শুধু জানে না। ইঙ্গিতে ও সঙ্কেতের ভাষা এখনো BBK DDD SS BBDB BBB DD D DD uuB DBDB DBDDDDBD BB DDLDBBD এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়া আসিয়া এভাবে ইতস্ততঃ করিয়া জিজ্ঞাসা করিত জালবো ? - একটি শব্দে কি মহাকাব্যই স্মৃষ্টি হইয়া যাইত! কালী শুধু প্রশ্নের ভঙ্গিতে তার কথারই পুনরাবৃত্তি করিয়াছে। আলো জালিয়া কালী চলিয়া গেল রাজকুমার ভাবে, অভিধান নিরর্থক । শব্দের মানে তারাই ঠিক করে, যে বলে আর যে শোনে। কাজ ও উদ্দেশ্যের বেলাতেও তাই। কি ব্যাপক মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ! বর্ষা শেষ হইয়াছে। মাঝে মাঝে বাতাসে হঠাৎ যে শীতের আমেজ পাওয়া যায় এখনো তা ভিজা ভিজা মনে হয়, কান্নার শেষে তোয়ালে দিয়া মুছিয়া নেওয়ার পর মালতীর গায়ের শীতল স্পর্শের মত। কালী মার কাছে চলিয়া গিয়াছিল, কয়েকদিনের জন্য আবার আসিয়াছে। মনােরমার তাড়া নাই, বিফল হওয়ার ভয়ও যেন নাই। কালীর দেহে যৌবনের বিকাশে যেমন এতটুকু ব্যস্ততা দেখা যায় না। অথচ বিকাশ তত্ত্বর অনিবাৰ্য গতিতে ঘটিতেই থাকে, মনোরমার অভিযানও তেমনি ধীর স্থির মন্থর গতিতে গড়িয়া উঠে। খেলার ছলে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করার বিরুদ্ধে কালীর প্ৰতিবাদ যেমন রাজকুমারের অজ্ঞাতসারেই তিলে তিলে হুকুম হইয়া মাথা তুলিতে আরম্ভ করে, তাকে ঘিরিয়া মনোরমার জাল বোনাও তেমনি হইয়া থাকে তার অদৃশ্য।