পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांनिक थांबी জার্নাঁ গিয়াছে কিনা তাই রাজকুমার এখন তাকে যাচাই করিতেছে। তাকে নয়, তার দেহকে । কোথায় তার কোন খুত আছে রূপের, খুজিয়া খুজিয়া তাই এখন বাহির করিতেছে রাজকুমার। ভালবাসার দৃষ্টিতে যদি এমন মনোযোগের সঙ্গে রাজকুমার তাকে দেখিত । কিন্তু চোখে তার ভালবাসা নাই। মনে মনে কি যেন সে হিসাব করিতেছে আর যাচাই করার দৃষ্টিতে তার সর্বাঙ্গে চোখ বুলাইতেছে! : কালীও অনেক কথা ভাবে। কিছু সে বুঝিতে পারে না, তার ভয় হয়, লজ্জায় সে আড়ষ্ট হইয়া যায়। আপনা হইতে কখনো যে ডাকিত না, হঠাৎ একবার সে কেন অকারণে কাছে ডাকে ? সামনে দাঁড় করাইয়া কোন বলে, এদিক মুখ করো, ওদিকে মুখ করে, পিছন ফিরে দাড়াও ? i মনোরমও রাজকুমারের ভাবান্তরে আশ্চর্য হইয়া গিয়াছে। এমন বোকা সে নয় যে মনে করিবে কালীকে হঠাৎ বেশী পছন্দ হইয়া যাওয়ায় সর্বদা তাকে ডাকিয়া রাজকুমার তার সঙ্গে ভাব করিতে চায়। পছন্দ হইয়া থাকিলে আর ভাব করার ইচ্ছা জাগিয়া থাকিলে এভাবে যখন তখন বিনা কারণে ডাকার বদলে সে বরং বিশেষ দরকার হইলেও কালীকে ডাকিত না। রাজকুমারকে অন্য সকলে যতটা চেনে মনোরমা তার চেয়ে অনেক বেশীই চিনিয়াছে। গিরীন্দ্ৰনন্দিনীর সঙ্গে যেমন ব্যবহারই রাজকুমার করিয়া থাক, যদি ধরিয়াও নেওয়া, যায় যে হঠাৎ কোকের মাথায় সে অন্যায় ব্যবহারই করিয়াছিল, গিরির টানেই সে যে সেদিন তাদের বাড়ী গিয়াছিল, মনোরম তা বিশ্বাস করে না । গিরির জন্য যাইতে ইচ্ছা হইলে সে কখনো সে বাড়ীর চৌকাঠ মাড়াইত না। মনোরমা ভাবিয়া কুলকিনারা পাইতেছিল না, রাজকুমার তার সমস্ত ভাবনা মিটাইয়া দিল। সকাল বেলা রাজকুমার তাকে বলিল, কালীকে রিণিদের বাড়ী একটু নিয়ে যাচ্ছি দিদি। vel, cक्न ? শুধু ঘরে বসে থাকবে ? দু’চারজনের সঙ্গে একটু ভাবসাব করে আসুক ? মনোরমার মুখ হাসিতে ভরে গেল। বেশ তো নিয়ে যাও, আমায় আবার জিজ্ঞেস করা কেন ? কালীর অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গের বৈশিষ্ট্য মনের মধ্যে বহিয়া নিয়া গিয়া রিণি, সরসী, মালতী আর অন্য মেয়েদের সঙ্গে মিলাইয়া দেখিতে রাজকুমারের বড় অসুবিধা হইতেছিল। ওরকম আন্দাজী গবেষণায় এত বড় একটা তথ্য কি যাচাই করা