পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bडूकांव Voo S তার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছি। আমরা যাচ্ছি কন্যা পক্ষে, তুমি যাবে বরযাত্রী হয়ে। V GIFTE K5 | · আগে জানিলে কথাটা সোজাই মনে হইত। একটা বিবাহ ঘটানোর গর্বে এখন বিশ্বের, সমস্ত ঘটনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরসীর আয়ত্তে আসিয়াছে, আশ্চৰ্য কিছু ঘটিবার উপায় নাই। রাজকুমার যে ঠিক আজ সন্ধ্যাতেই অনেকদিন পরে মালতীয় খোজ করিতে আসিয়াছে, তাও সরসীরই বাহাদুরী। ধীরেনের দু’বছর খোজার পর পছন্দমত মেয়ে পাওয়ার ব্যাপারটা রাজকুমার এবার বুঝিতে পারে। সরসীই তার মনে পড়াইয়া দেয়। তার বাড়ীতে মেয়েটিকে রাজকুমার একদিন দেখিয়াছিল। না, দু’বছর খুজিয়া পছন্দ করার মত মেয়ে সে নয়। তবে মাঝখানে সরসী ছিল। সেই পছন্দ করাইয়া দিয়াছে সন্দেহ নাই। সরসী সব পারে। সকলকে আড়াল করিয়া সরাসী একাই তার সঙ্গে কথা বলে । চিরদিন তার এই রীতি। দেখা হওয়া মাত্র রাজকুমারকে সে দখল করে । মনে হয়, রাজকুমারের জন্যই সে যেন ওৎ পাতিয়া ছিল। তার সভাসমিতি করিয়া বেড়ানোর মানে আর কিছুই নয়, রাজকুমারের আদর্শনের কাঁটা দিন বাজে কাজে কোন রকমে সে সময় কাটায় । মালতী বলে, তোমায় কেমন আনমনা ঠেকছে আজ ? সরসী সঙ্গে সঙ্গে রাজকুমারের হইয়া জবাব দেয়, কবিত্ব করিস নে মালতী, থােম। একটা মানুষ ভাল করে চুল না আঁচড়ালেই তোর কাছে আনমনা ঠেকে। চিরুণীটা দেখি তোর । সরসী নিজেই মালতীর চিরুণী দিয়া রাজকুমারের চুল ঠিক করিয়া দেয়। তার পিছনে দাড়াইয়া মালতী একটু হাসে। রুক্মিণী বলে, চুল আঁচড়ালে কি হবে, রাজকুমারবাবুর চেহারাটাই কবির AVU5 সরসী মুখে এ কথার প্রতিবাদ করে না, শুধু ভৎসনার দৃষ্টিতে রুক্মিণীর মুখের দিকে তাকায় । রুক্মিণী একেবারে বিব্রত হইয়া পড়ে । কারো চেহারা কবির মত, একথা বলা কি অসঙ্গত ? প্ৰশংসার বদলে তাতে কি নিন্দা বুঝায় ? কে জানে । অথচ সদ্য পরিচিত একজনকে ঠিক এই কথা বলায় পরদিন সকালে সে বাড়ী আসিয়া রুক্মিণীর সঙ্গে আলাপ করিয়া গিয়াছিল। তাড়াতাড়ি সে আবার বলিতে যায়, কবির মত চেহারা মানে — সরাসী বলে, মানে, ওকে তোমার খুব পছন্দ হয়ে গেছে ।