পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fồVisą RQ) প্ৰদান হয়ে গেলা-পরম্পরের নানা বৃত্তান্ত। হরেনাম রাইস মিলের সামনে যখন তারা পৌছল, চিন্তামণি তার চোখের কথা বলছে। গত বছর চোখের অসুখ হয়েছিল বলে ক’দিন থেকে মাঝে মাঝে বা চোখটা একটু কটকট করায় ভাবনা হয়েছে চিন্তামণির । “চোখে কম দ্যাখো ? “ন গো, কম কেন দেখব ? দুপুরবেলা চােখটা কেমন টাটায়। যা ধূলো বাবা তোমাদের দেশে ।” আজ সকালেও তার দেশ সম্বন্ধে এই বিরুদ্ধ মন্তব্য গৌরের পছন্দ হত না হয়তো কলহের সুরে পাণ্ট জবাব দিয়ে বলত যে তোমার দেশে ধুলো নেই ? এখন কথাটায় সায় দিয়ে সহানুভূতি জানিয়ে বলল, ‘পদ্মমধু দিও দিকিনী চােখে একটি। ও বড় ভাল ওষুধ ।” সেখান থেকে মেঠো পথেই গৌর সোজা রঘুর বাড়ী গিয়ে হাজির হল। মাকে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে সকলের সঙ্গে হৈ চৈ করে দুর্গাকে পোড়াতে গেল বালিময় শুকনো নদীর বুকে । কানাই বংশী আর হরিধানের জন্য একটা দেশী মদের বোতল রঘুকে কিনতে হয়েছিল, গৌরও একটু চেখে দেখল। ভাল করে গেজে ওঠেনি এরকম অল্প নেশালে তাড়ি সে দু'এক ঢোক খেয়েছে মাঝে মধ্যে, মদ কোনদিন ছোয়নি । খেদির পাড়া, ২৪ পরগণা 8ठं फारुन বৈন চিন্তামণি তোমায় কি লিখিব আমার লিখিবার মুখ নাই। আমি কেন জীবন্ত আছি আমার মরণ হয় না ভগবানকে দিবারাত্র জানাইতেছি । কি সর্বনাশ হইয়াছে তুমি কঁাদাকাটা করিবা বলিয়া জানাইতে বিলম্ব করিলাম। ইহার পর আর বঁচিবার সাধ নাই। কিন্তু পোডা কপালে মরণ নাই আমি কেন মরিব একচক্ষু ভগবান আমাকে কেন লইবে । চাপাবালা গলায় দডি দিয়াছে জানিবা । ইহার সব বিত্তান্ত ভাবিলে আমার মাথা ঘুরায় আমি দিবারাত্র মরণ কামনা করি। কাকী থাকিতে দিবে না বলিয়াছে লিখিয়াছিল। ইহাতে কেমন করিয়া জানিব কাকী চাপাবালাকে মেয়া শুদ্ধ, খেদাইয়া দিয়াছে যে তাগো খাওয়া জুটে না হৈমী এবং তাহার মাকে কেমন করিয়া রাখিবে । ইহা কথার কথা ভাবিয়াছি। তাই