পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रेङ्कां VORO. অভদ্রতা ! কি বলছি তুমি ? ሰዎ” ከ রাজকুমার কিছুই বলিল না। রিণির সঙ্গে তার ব্যবহারের সংজ্ঞা লইয়া কি মৃত্যুর কে, এল তর্ক করিতে চান ? বলিতে চান। ওটা অভদ্রতার চেয়ে আরও খারাপ কিছু ? ফঁাসির ভয় না থাকলে তোমায় আমি খুন করতাম রাজু। তুমি রিণির যা ক্ষতি করেছ সে জন্য নয়, তোমার এই মনোভাবের জন্য। রিণির কাছে সব শুনেও তোমায় আমি একা দোষী করিনি। রিণি ছেলেমানুষ নয়, তারও উচিত ছিল নিজেকে বাঁচিয়ে চলা। দু’দিন ধরে আমি ক্ৰমাগত নিজেকে কি বুঝিয়েছি জানো ? কেবল তুমি আর রিণি নও, আরও অনেক ছেলে-মেয়ে এ রকম ভুল করেছে, রিণি আমার মেয়ে বলেই আমার মাথা খারাপ করলে চলবে না, ভুল করলে চলবে না। রিণিকে তুমি বিয়ে করবে কি না, না করলে কেন করবে না, খোলাখুলি ভাবেই এই কথা জিজ্ঞেস করব বলে তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এক বছর একটি মেয়ের সঙ্গে খেলা করা যখন তোমার কাছে শুধু অভদ্রতা, তোমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে চাই না । তোমাকে বলা বৃথা, তবু বলছি, যদি পাের সুইসাইড কোরে । তোমার মত মন নিয়ে কারো বেঁচে থাকা উচিত নয় । আচ্ছা, এবার তুমি যাও রাজু। কথা বলিতে রাজকুমারের সাহস হইতেছিল না। রিণি সব বলিয়াছে যা ঘটে নাই, যা ঘটিতে পারিত না । কিছুই বলিতে বাকী রাখে নাই ! কেন বলিয়াছে ? কি চায় রিণি ? তার উদ্দেশ্য কি ? যতই বিকার থাক মনে, রিণি তো পাগল নয়। তাকে জড়াইয়া বাপের কাছে এই অদ্ভুত অকথ্য কাহিনী সে বলিতে গেল কেন ? তাকে সে পাইতে চায়, বিবাহের মধ্যে, চিরদিনের জন্য ? কিন্তু তাকে পাওয়ার জন্য এই উদ্ভট উপায় অবলম্বন করিবে কেন ? রিণি তো কোনদিন জানিতেও দেয় নাই, তাকে তার চাই । যদি ধরা যায়। তখন রিণিও নিজেকে জানিত না, সেদিনকার রাগারগির পর এতদিনের আদর্শনে তার খেয়াল হইয়াছে, নিজেই তাকে ক্ষমা করিয়া তাকে তো সে কাছে ডাকিতে পারিত, চেষ্টা করিতে পারিত তাকে জয় করার। এই চেষ্টা ব্যর্থ হইলে, তাকে পাওয়ার আর কোন উপায় খুজিয়া না পাইলে রিণি। যদি এই পাগলামি করিত, তার একটা মানে বুঝা যাইত। তোমায় যেতে বলেছি। রাজু। কাল আমি একবার রিণির সঙ্গে দেখা করতে চাই।