পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रिट्छांत्रिं VV জগু তার কামানো চিবুক নামিয়ে বঁটার মত আছাটা মোটা গোঁফের নীচে হাসি ফোটায়, উলল ল••• । বলে, “ফরমাস দিয়ে জুতো বানান, সাতটি বছর ছুতে হবে না জুতো ।” ‘তুই বানাবি “লয় কেনে ? বানাই নি কে ফরমাসি জুতো ? ঠাকুরমশায় জানে - কুকুরে যদি না লিয়ে যেতো - * দু’ আড়াই বছরের কথা, জুতোর শোকটা সরোজ বাড়ুষ্যের কেটে গেছে মুখে তাই তার কথাটা স্মরণ কবে হাসি ফুটতে পায়। শক্ত লোহার মত একজোড়া জুতো তাকে জগু বানিয়ে দিয়েছিল, কয়েক মিনিট পরিবার পরেই বাড়িয্যের পায়ে আর ফোস্কা পড়ার স্থান থাকে নি। জুতো জোড়া খুলে রাখা হয়েছিল চৌকীর নীচে । প্ৰথম দিনটা পরিষ্কার বোঝা যায় নি, পরের দিন টের পাওয়া গিয়েছিলো যে ঘরে বেশ একটু গন্ধ হয়েছে। ক্রমে ক্রমে বাড়তে বাড়তে তিন চার দিনে ঘর মম করতে লাগল সেই জুতোর গন্ধে ! বাইরে বার করে রাখা মাত্র রাস্তার এক নেড়ে কুত্তা এসে একপাটি মুখে করে পালিয়ে গেল । “যদি না নিয়ে যেত :- ? “কঁচা ছাগলের চামড়া দিয়ে ব্যাটা জুতো বানিয়েছিল। না যায় পায়ে দেয়া, না যায় গন্ধের চোটে ঘরে টোকা । মুচির কাছে জুতো কিনো না, খাপরদার।” জগু নিজেই কথাটায় সায় দিয়ে বলল, “মুই মুচি লই । জাত মুচি লই ।” পটল বলল, “ছাগলের চামড়া ? গরুর চামড়া বলুন।” লাডুয্যে বলল, “গরুর চামড়া ? খেপেছ! গরুর চামড়ার জুতো পরব আমি ।’ চামড়ার মধ্যেও সে যেন টের পায় কোনটা গরু কোনটা ছাগল ! সবার বুদ্ধি ভোতা তাই রক্ষা, নইলে হয়ত কেউ জিজ্ঞেস করে বসত, গরুর চামডা আর ছাগলের চামড়ার জুতোর তফাৎ জানবেন কি করে ? এমনি সময় গৌর আর রহিমকে আসতে দেখা গেল কোর্টের দিক থেকে । গৌরের হাতে একটি দলিল । গৌরের মুখে বজাতি মুচকি হাসি। দেখলেই সন্দেহ হয় কোন একটা দাও মেরেছে। গরীব চাষী মজুরের মুখে এই দাও মারা হাসি ভাষার চেয়ে প্ৰাঞ্জল । দেখেই কঁাচ্চ খানেক ‘এক ঝলক বাড়তি রক্ত পটলের বুকে উঠে গিয়েছিল। চিন্তামণির জন্য তার মাথা ব্যথা নেই। তবু চিন্তামণি তো মেয়েমানুষ আর वांबिका-(७è)-७