পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vie (tal pigy is ♥ፃው কেন অনেক শ’ গাঁট ধুতি শাড়ী জমে আছে, এসব তথ্য আবিষ্কার করায় বকু আর তার সাতজন সাঙ্গাপাঙ্গ মারপিট দাঙ্গাহাঙ্গামার দায়ে হাজতে আছে সোয়ামাস | মারপিট দাঙ্গাহাঙ্গামা তারা না করে থাকলে অবশ্য বিচারে খালাস পাবে, মিথ্যা হায়রাণির জন্য ক্ষতিপূরণের পাণ্টা নালিশও রুজু করতে পারবে আইন অনুসারে কিন্তু গুরুতর নালিশ যখন হয়েছে ওদের নামে, হাজতে ওদের থাকতে হবে। জামিন দেওয়ার অনেক বাধা। গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে জামিনের কথা । ঘোষ আর আজিজ সভা ডেকে ঘোষণা করেছে। হাতিপুরের জন্য কাপড়ের “কোটা’ তারা যা আদায় করেছে, এবার কাপড়ের ভাবনা কারো ভাবতে হবে না । মনোহর শা’র প্রস্তাবে নিজেদের তার হাতিপুরের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। বিশ্বাস না করেও হাতিপুরের লোক ভেবেছে, দেখা যাক। আশা ছেড়ে দিয়েও হাতিপুরের নরনারী ভেবেছে, উপায় কি । দু’জনে আজ সদরে গিয়েছিল, কবে হাতিপুরে এসে পৌছবে হাতিপুরের জন্য নির্দিষ্ট-করা কাপড়ের ভাগ, তারই খবর জানতে। গায়ের লোক উন্মুখ হয়ে পথ চেয়ে আছে তাদের। ছায়ারা ঘরে ঘরে লুকিয়ে আছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও আগ্রহ ও উত্তেজনার শেষ নেই। বিকালে ছোটখাট একটি জনতা জমে উঠল গ্রামের পূর্ব প্রান্তে কঁথি সড়কের বাস-থামা মোড়ে। vn ঘোষকে একা’ বাস থেকে নামতে দেখে জনতা একটু ঝিমিয়ে গেল। ভিড় দেখে ঘোষও গেল একটু ভড়কে। “কী হল ঘোষমশায়, কাপড়ের কী হ’ল ? ‘গোলমাল হয়েছে একটু।” ‘গোলমাল ? কিসের গোলমাল ?’ ‘কলকাতা থেকে মাল আসে নি। ভাই সব, আমরা জীবনপাত করে। --” বন্ধু’র সাঙ্গাপাঙ্গদের একজন, সরকারদের অবিনাশ, সে সময়টা কলেরায় মরমর হয়ে থাকায় মারপিটের নালিশে হাজতে যেতে পারেনি। সে বজ্ৰকণ্ঠে প্রশ্ন করে, “শনিবার ক্ষেত্ৰ সামন্তের চালান এসেছে, সাত ওয়াগন ! আমি দেখেছি, পুলিস দাড়িয়ে গাট নামিয়ে গুণে গুণে চালান দিল।” ‘ও সদরের জন্যে। হাতিপুরের ‘কোটা’ আসে নি।” ‘কবে আসবে ?