পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ny p भनिक (jहांदकी সদয় ডাক্তার বলল, ‘পাগল, ও খুব ভাল কুইনিন। নতুন ধরণের কুইনিনখুবই এফেকটিভ। নইলে দাম বেশী নিই। কখনো আপনার কাছে ? মেয়েট মরে যাওয়ার পর সদয় ডাক্তার রাগ করেছিল। হাকিমের রায় । দেওয়ার মতো শাসনভার নিন্দার সুরে বলেছিল, “আপনারাই মারলেন। ওকে। কুইনিন ? শুধু কুইনিনে কখনো জর সারে ? পথ্য চাই না? পথ্য না দিয়ে মারলেন মেয়েটাকে, শুধু পথ্য না দিয়ে।” শৈলর চেয়ে সে মেয়েটি ছােট ছিল মােটে বছর দেড়েকের। তার মুখখানাও ছিল শৈলর চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর। আজ তার বিনিময়েvঅন্ন মিলতে পারত। কয়েক বস্তা অন্ন । নগদ টাকা ফাউ । কিন্তু সে জন্য কেশবের মনে কোন আফসোস নেই। সে বরং ভাবে সে মেয়েটা AC3, Gštadig শৈলকে কিনল কালাচাদি । কালাচাঁদের মুখ বড় মিষ্টি। বড়ই মধুর ও পবিত্র তার কথা। মুখখানা তার ফরসা ও ফ্যাকাসে। ছোট ছোট চােখে স্তিমিত নিস্তেজ নিষ্কাম দৃষ্টি । রাবণের অধিকার বজায় থাকা পৰ্যন্ত ধাৰ্মিক বিভীষণ বরাবর যে দৃষ্টিতে কৃশোদরী মন্দোদরীকে দেখত, কালাচাঁদ সেই দৃষ্টিতেই মেয়েদের দেখে থাকে। এটুকু ছাড়া অবশ্য বিভীষণের সঙ্গে কালাচাঁদের তুলনা চলে না। বছর পাঁচেক আগে কালাচাঁদের দাদা কি ভাবে যেন মারা যায়। দাদার দু’নম্বর বেওয়ারিশ পত্নীটিকে স্নেহ করা দূরে থাক, কালাচাঁদ তাকে জোর জবরদস্তি করে একটা বাড়ীর বাড়ীউলি করে দিয়েছিল। সেটি কালাচাদের পারিবারিক বাড়ী নয়। অনেক তফাতে ভিন্ন একটি ভাড়াটে বাড়ি । সে বাড়ীতে তখন দশ বারটি মেয়ে বাস क७ । তার পাশের বাড়ীটিও কালাচান্দ কিছুদিন আগে ভাড়া নিয়েছে। দু’বাড়ীতে এখন মেয়ের সংখ্যা সতের আঠার। কালাচাদের মন্দোদরী এখন দুটি বাড়ীর কত্রী। মহিলাটি কয়েক বছরের মধ্যেই আকারে একটু স্থূল হয়ে পড়েছেন। উদর রীতিমতো মোটা। ধপধাপে আধ্যাহাত সেমিজের উপর ধপধাপে থান পরলে তাকে সন্ত্রান্তবংশীয় দেবীর মতো দেখায় । দুর্ভিক্ষে সহরে মেয়ের চাহিদা বাড়ায় এবং মফঃস্বলে মেয়ে সন্তা ও সুলভ হওয়ায় কালাচাঁদ এদিক ওদিক ঘুরেছে। দেশের গায়ে এসে তার শৈলকে পছন্দ হয়ে গেল। শৈল অবশ্য তখন কঙ্কালসার, কিন্তু এ অবস্থায় এসে না পড়লে কি