পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9th | वानिक अंइांदणी । আছে কানাইকে বড় মামা বলার । জোতদার কানায়ের বাড়ীর কাছে এসে কান্নার আওয়াজ শুনে গোপাল থমকে দাড়িয়ে গেল। গায়ে পা দেবার পর এই কান্নার শব্দে যেন তার নিজস্ব একটা অদ্ভুত স্তব্ধতার আবেষ্টনী ভেঙ্গে পড়ল এতক্ষণে, বেলা যখন খতম হয়ে এসেছে। এখন তার খেয়াল হল, গায়ের এতগুলি নারীপুরুষের বুকভরা শোক কান্নায় রূপ পায়নি, কান্না সে শোনেনি গাঁয়ে এসে। মৃত্যুপুরীর নীরবতাকে এতক্ষণ সে অনুভব করেছে কিন্তু কতগুলি জীবন্ত কঙ্কাল চােখে পড়ায় সে অনুভূতিকে বুঝতে পারেনি। অথচ এ অনুভূতি তার কত চেনা ! কতবার জনহীন শ্মশানে তার হৃদয় মন এ अख्छिष्ट8@ा बच्चीन कgद्रgछ । .است দাওয়ায় বসে কানাই আকাশ বাতাসকে শুনিয়ে অদৃষ্টকে শাপ দিচ্ছিল। গোপাল প্ৰণাম না করায় চটে গেলেও শ্রোতা পাওয়ায় সে খুন্সী হল। তার ছেলের আজ ফিট হয়েছে। দু’বছরে তেরো হাজার টাকা উপায় করেছে এমন সোনার টাদি ছেলে । কোন বিশেষ অপদেবতা বা অপদেবী নজর দিয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু কেন এই নজর দেওয়া, এত ধর্মে কৰ্মো পূজা অৰ্চনা করার পর । ‘দু’বচ্ছর চব্বিশ ঘণ্টা ভয়ে ভাবনায় দিন কাটাবার জন্যে হবে বা ? শশী একটু ভয়-কাতুরে বটে তো।” “কিসের ভয় ভাবনা ? সবিস্ময়ে কানাই শুধোয় { “এই ধরা পড়ে জেলে যাবার ভয় । চোৱাই কারবারে ভয় তো আছে।” "কচু আছে। হাজার হাজার লোক করেছে না ও কারবার ? তুই বাঁদর, জেল খাটিস। ওর জেলের ভয়টা কিসের ?’ থেমে গিয়ে কানাই। থুতনিটা ঘন ঘন এপাশ ও পাশ নাড়ে আর লোমবহুল বুকে বা হাতের তালু ঘষে-অম্বলের জালায় জ্বলে যাচ্ছে বুকটা । “মধাময়ী এসেছে আজ। ‘বটে নাকি ? বেশ ।” “এয়েছে মানে আমি আনাইনি-এয়েছে। এনে ফুেল দিয়ে গেছে আমার বাড়ী । বেয়াই বেটা, জানিস গোপাল, বাজাতের ধাড়ী ।” গোপাল খবরটা শুনেছিল। কানাইয়ের মেয়ে স্বধার বিয়ে হয়েছিল গত বছর আশ্বিন মাসে । এবছর কাতিকের গোড়ায় সে প্রসব হতে এসেছে বাপেক্স বাড়ী । জামাই এসে রেখে গেছে। ইকো এসেছিল। কানাই হকো টেনে , কাসে আর বলে, “পেটে তিনবার