পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खाख काब्न °द्रछद्म ?छ 8 ছিল, পুলকেশকে বসিয়ে যতীন বলে, “বোস, একটা পাট আনি। একটু সেলিব্রেট করা যাক ৷” “আমি তো ওসব খাই না।” • “একদিন একটু খাবি, তাতে কি হয়েছে ? এ্যাদ্দিন পরে দেখা, একটু ফুতি না कद्रव्या श् ? এখানে ঢুকেই যতীনকে আগের চেয়ে বেশী তাজা, বেশী উৎসাহী মনে হচ্ছে। সেলিব্রেট করার একটা ভাল উপলক্ষ পেয়ে সে যে ভারি খুশী হয়েছে বেশ বোঝা যায়, কেশী মদ খাওয়ার জন্য নিজের মনটা আর তাকে কামড়াবে না । পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ায় সে যুক্তি পেয়েছে, কৈফিয়ৎ পেয়েছে সমর্থন পেয়েছে বেশী মদ খাবার। যতীন মদ আনতে যায়, পুলকেশ বসে বসে ভাবে। যতীনের অধঃপতনে মনটা তার খারাপ হয়ে যায় । যতীন এসে বসলে সে জিজ্ঞেস করে, “কদিন খাচ্ছিস ?” “বছর দু’তিন ?” “এটা ধরলি কেন ?” প্রশ্ন শুনে যতীন হাসে । — ‘খেলে একটু ভাল লাগে আবার কেন।” গেলাসে মদ ঢেলে চেলে খেতে যতীনের অন্তরঙ্গতা বাড়তে থাকে, কথা সে বলতে থাকে তাড়াতাড়ি, বেশী বেশী। একবার চুমুক দিয়েই পুলকেশের সর্বাংগা শিউরে উঠেছিল, বমি ঠেলে উঠেছিল । আর খাবার চেষ্টা না করে সে যতীনের কথা শুনে যায়। অদৃষ্ট বড় খারাপ ব্যবহার করেছে যতীনের সঙ্গে, ঘা মেরে মেরে থেতলে দিয়েছে। জীবনটা, কোনদিন বিশেষ সুবিধা করতে দেয়নি। চাকরীর গোড়ায় বাপ মারা গেল। কিছু টাকা হাতে পেয়ে চাকরী ছেড়ে একটা ব্যবসা আরম্ভ করেছিল, সুবিধা হল না । বীমার দালালী করেছিল কিছুদিন, সুবিধা হল না। একটা এজেন্সির কারবার ধরেছিল, সেটাতে কিছু হল না । দুটো ছেলে হবার পর বৌটা। পড়ল। অসুখে, সেই থেকে একটানা ভুগছে। বোনের বিয়ে দিয়েছিল, বোনটাকে তার স্বামী নেয় না। বিরক্ত হয়ে সকলকে দেশের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে সে কলকাতায় নতুন একটা ব্যবসা ফেদ্দেছে। ‘সংসারের হাঙ্গামা নেই, খরচের টাকা পাঠাই, বাস। এবার ঠিক গুছিয়ে নেব । দু’বছরের মধ্যে যদি না মোটর কিনি তো- ? জমজমাট নেশা হয়েছে যতীনের । সগর্বে বুক ঠুকে সে পুলকেশকে শোনায় ব্যবসাতে তার. কেমন তীক্ষ্ম বুদ্ধি, অল্পদিনে কী ভাবে সে ফেঁপে উঠবে, অন্য