পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8te মানিক গ্ৰন্থাবলী তাকিয়ে তাকিয়ে দ্যাখে সুশীলা, নিজেদের বাড়ীতে এখানকার কোন বিশেষত্ব আমদানী করবে মনে মনে স্থির করে । তারপর আসে চা ৷ একথা হতে হতে আসে কনট্রাক্টের কথা । সুশীলার সামনেই আলোচনা চলতে থাকে, গভীর আগ্রহের সঙ্গে সে সব কথা শোনবার ও বোঝবার চেষ্টা করে, উত্তেজনায় তার বুকের মধ্যে টিপ টিপ করে । মাখনের সঙ্গে আলোচনা আরম্ভ হবার পর সুশীলার দিকে দাসের বিশেষ মনোযোগ দেখা যায় না, কথাতেই তাকে মাসগুলি মনে হয় । বাইরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে ।। ঘরে আলো জলে স্নিগ্ধ । তারপর দাস বলে, “হাওয়ার্ডের সঙ্গে কথা বলা দরকার । বসুন, ফোন করে আসছি।’ ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার আগে সুশীলার দিকে চেয়ে হেসে বলে, “খালি কাজের কথা বলছি, য়াগ করেবেন না ।” সুশীলা তাড়াতাড়ি বলে, “না, না ।” দাস চলে গেলে চাপা গলায় সুশীলা বলে, “সোয়া লক্ষের মতো হবে।” “বেশীও হতে পারে।” ‘ফেরবার পথে কালীঘাটে পূজো দিয়ে বাড়ী যাব।” , গলা বুজে আসে “আজো ? “হাওয়ার্ডের সঙ্গে কথা বললাম। আপনাকে গিয়ে একবার কথা বলতে হবে।” কাগজপত্রগুলি নিয়ে আপনি এখুনি চলে যান। দুটো সই করিয়ে নিয়ে আসবেন। দাস নিশ্চিন্ত ভাবে বসে ৷ - “আমরা ততক্ষণ গল্প করি । আপনাদের না খাইয়ে ছাড়ছি না।” দাস একটা সিগারেট ধরায় ! সুশীলাকে বলে, “উনি ঘুরে আসুন, আমরা ততক্ষণ আলাপ জমাই। আরেক কাপ চা খাবেন ? সুশীলা আর মাখন মুখ চাওয়া চাওয়ি করে। পাখা ঘোরবার আওয়াজে ঘরের স্তব্ধতা গম গম করতে থাকে। মাখন আর সুশীলা দুজনেরি মনে হয় আওয়াজটা হচ্ছে তাদের মাথার মধ্যে - অকথ্য বিশৃঙ্খল উদ্ভট আওয়াজ ! তারপর মাখন বলে, “তুমি চাটা খাও, আমি চট করে ঘুরে আসছি।” সুশীলা চোক গিলে বলে, “দেরী কোরো না ।” 'न, बाद अबू धागद ।' গাড়ী রাস্তায় পড়তেই মাখন ড্রাইভারকে বলে, “জোরসে চালাও ! জোরসে !