পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8●8 भांनिक कहांवली “আপনি যদি কথা দেন ছেলেকে সামলাবেন, আমি ওদের বলতে পারি। নয়। তো আমি যদ্দূর জানি ছেলে আপনার খুন হয়ে যাবে।” "ছেলেটা গোল্লায় গেছে, সামন্ত ।” কৃপাময়ের হাতের চাপে নরম মাটিতে লাঠির ডগায় টোল পড়ে কয়েকটা । গোল্লায় যাক, চুলোয় যাক। খুন হয়ে ছেলেটার নরকে যাওয়া বন্ধ করার জন্যে কৃপাময় মনে মনে আপসোস করে । ‘ওকে সহরে পাঠিয়ে দেব আজকালের মধ্যে মেজ ছেলের ওখানে ৷” “সেই ভালো ।” পরামর্শ দিচ্ছে, উপদেশ ! যেন, মহাজন, যেন গুরুঠাকুর, যেন মাষ্টার !! ভয় দেখাচ্ছে, যেন পুলিশের দারোগা ! কৃপাময়কে সে কি ভয় কয়ে ? কোনো কারণ তো নেই ওকে তার ভয় করার ! তার সম্পদ আছে, লোকজন আছে-কৃপাময় গরীব একা। ছেলের বৌ আর ছেলেমানুষ নাতিটা ছাড ওর কেউ নেই। ওর অর্ধেক জমি তার কাছে বঁধা । ইচ্ছা করলে ওকে সে “চললে নাকি সামন্ত ? একটা লাউ চেয়েছিলে, নেবে তো নিয়েই যাও আজ ।” “আজ্ঞে ঠিক চাইনি, তবে দ্যান যদি —” “দশজনকে দিয়েই তো খাব হে। নইলে এত লাউ দিয়ে করব কি ? ওটা নাও, दge शव, कeि अछि ।' প্ৰথম সোনালী রোদ এসে পড়েছে মাটির পথে, মাঝে মাঝে গাছের ছায়া । বর্ষায় পরিপুষ্ট সবুজ গ্রাম। শ্যাম মাইতি আর গোকুল দাসের পোড়া বাড়ির কালো কাঠ-বাঁশ-ছাই আজও স্তৃপ হয়ে পড়ে আছে, বর্ধাও ধুয়ে নিয়ে যায়নি, নতুন কুটিরও ওঠেনি। কোথায় চলে গেছে ওরা, ফিরে এসে নিশ্চয় আবার ঘর তুলবে। কৃপাময়ের বাড়ির কাছাকাছি সোনা জেলের বৌ কাতু এইটুকু মোটা কাপডে তার যৌবন-উখলানো তাজা দেহটা কতটা ঢাকল কেয়ার না করে মাথায় মাছের চুপড়ি বসিয়ে তার নিজস্ব কোমরদোলানো ছন্দে হন হন করে চলে, কৃপাময়কে পেরিয়ে গিয়ে থামে । ফিরে এসে আবার তার নাগাল ধরে । বলে, “খাসা লাউটি বাঃ । কত নিলে গা ? ‘সরকার মশায় দিলেন, কাতু।” ‘ওমা, ই নাকি ? দুটি চিংড়ি দি তবে তোমাকে ৷” চুপড়ি নামিয়ে একটা কচু পাতা ছিড়ে কাতু এক খাবলী চিংড়ি তুলে দেয়।