পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেড়ী দুর্ভিক্ষের প্রথম চােটটা লাগল তারার মাথায়। তারার ছিল চুলের বাহার, মাথা ভরা চিকণ কাল একরাশি চুল। মাঝে মাঝে কোন কোন মেয়ের এ রকম হয়-চাষাভূযোর ঘরেও। গোড়ায় তেল জুটতো, বাপের বাড়ীতে থাকবার সময় আর শ্বশুরবাড়ী এসে কয়েক বছর, ছেলেমেয়েগুলি জন্মাবার আগে পর্যন্ত । তারপর তেলের অভাবে চুল আবার রূক্ষ হয়ে গেছে। ফুলে কেঁপে থাকে, বাঁকড়া জঙ্গলের মতো দেখায়। চুল বড় বেড়ে গেছে মনে হয়। সার না দিলে গগন মাইতির ক্ষেতে ভাল ফসল হয় না, দশটি ছেলেমেয়ে বিয়োবার পরেও তারার মাথায় অযত্বে চুলের ফসল ফলে থাকে অদ্ভুত, সামলাতে তার প্রাণান্ত। তারপর এলো প্ৰাণান্তকর অভাবের দিন। ছারেখারে যাবার দিন। দু'দিনে দু'ফোটা তেল যা জুটতো তারার মাথায় দেবার, তাও গেল বন্ধ হয়ে। মাথায় জট বাঁধে, হু হু ক’রে উকুনের বংশ বাড়ে আর পাগলের মতো মাথা চুলকে চুল ছিড়ে তারা বকতে থাকে, “মলাম রে বাবা, মলাম। মার ভূতে, কাটারি দিয়ে কোপ মাৱ দিকি একটা, চুকেবুকে যাক।” ভীত সন্ধান্ত ক্ষুধার্ত গগন বিবৰ্ণমূখে পরামর্শ করতে আসে, দ্বাচন-মরণের কথাতেও তারা মন দিতে পাৱে না। দু'দণ্ডের বেশী স্থির হয়ে বসতে পারলে তো স্থির করতে পারবে মন! কাতরভাবে সে তাই বলে, “কি জানি বাবা, যা যুক্তি DD SSS EDS D LL S L KB DD BBLB DS DBB তাদের থাপড়ে দেয়। কান্না ভেসে আলে শূন্তে এদিক ওদিক থেকে, আতঙ্কে বুকটা BBBD DE DBDDS BDD DB BODDB D BB DB D DB DDD তারপর আবার হাত উঠে যায় মাথায়, জট ছাড়াতে, চুলকোতে আর উকুন মারতে! চুলের অরণ্য থেকে উকুন খুঁজে এনে দুই বুঢ়া আঙ্গুলের নখে টিপে পুট