আজ কাল পরশুর গল্প 8世* সন্ধান পেয়ে সে একই সরে পড়েছে। গগন বলে, ‘এক তোমাদের নিয়ে যাই কোথা ? নিজে গিয়ে দেখি যদি কিছু হয় ।” বাড়ী বাধা রেখে পনের বিশদিনের খোরাক দিয়ে গগন চলে যায়। ফিরে না। আসুক পনের বিশদিনের মধ্যে খবর একটা পাঠাবে আর রোজগারের কিছু অংশ। দুটি দুটি খেতে পেয়ে তারার আবার চুলের যন্ত্রণা অনুভবের শক্তি বেড়ে যায়। তার ভরা বাড়ী কিরকম খালি হয়ে গেছে আবার বুঝতে পেরে মাঝখানের নিঝুম দিনগুলির পর আবার বিনিয়ে বিনিয়ে কঁদিতে থাকে, মনাও গলা মেলায় মারি সঙ্গে । মনার মাথাতেও জটি বেঁধে উকুন হয়েছে। মা ও মেয়ে বসে কঁাদে আর পরস্পরের মাথার জট ছাড়িয়ে উকুন বাছে। খোরাক ফুরিয়ে যায় । সময় কাটে একটা মাস। গগনের কোন সংবাদ মেলে না । শোক দুঃখ ও দৈহিক যন্ত্রণাবোধ আবার ঝিমিয়ে আসে দু’জনের। মনার মেয়েটা মরে যায় দুধের অভাবে, কঁাড়া-চাল খাওয়া পেটের অসুখে। তারার কোলের ছেলেটাও মরে একই ভাবে । তারপর একে একে, এবেল একজন আর ওবেলি একজন করে, আরও একটা ছেলে ও মেয়ে মারা যায়। তারার । থাকে দুটি - মরমর অবস্থা । দশটির মধ্যে তারার চারটি সন্তান মরেছিল- এদেশে ওরকম মরতে হয় খুব স্বাভাবিক নিয়মে - আর চারটি মরে দুভিক্ষে । হৃদয়-পণ্ডিত আসে যায়, পরামর্শ দেয়, উপকার করতে চায় কিন্তু চাল দেয়। না । পেটে জালা না থাকলে মানুষ কথা শুনবে কেন । বলে, “চাল পাব কোথায়, চাল ? যা বলি শোন । সদরে চল তোমরা ; খাওয়া পরার ব্যবস্থা করে দেব । গগন যদি ফিরে আসে, তোমরাও ফিরে আসবে।” BDBBB BDBDSDDBB BBDS DD DDD BDBDD BBD S দু'জনে রাজি হলে হৃদয় মনে মনে একটু হিসেব কষে দেখে। মনেও আসে চেষ্টাং কৃতের সংস্কৃত শ্লোকটা । তাই মনকে আড়ালে বলে, “যা করছি। সব তোরই ভালর জন্যে মন । কিন্তু চারজনের ব্যবস্থা কি করতে পারব ? খটকা লাগছে। মা না গেলে তুই যদি না যাস-গেলে কিন্তু সুখে থাকৃতিস। মাছ দুধ খাবি, শাড়ী *झना *ादि-' ‘বলেছি। যাব না ? ‘বলিসনি ? বলিসনি তো? বেশ বেশ ? তারার অজান্তেই মনাকে শাড়ী গয়না পরিয়ে মাছ দুধ খাইয়ে সুখে রাখবার
