পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VR prov ey 9 8V ৰূরতে আসে না। বিচারের সময় সে কোটে আসত, আহত-বিস্ময় আর তীব্র অভিযোগ ভরা এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। তার দিকে । সুমথের কাছে সে খবর পায় যে বিচার শেষ হবার পরেই গীতা ঢাকায় তার বাবার কাছে চলে গিয়েছে। এটা প্রমথ বুঝতে পারে । কিন্তু দেখা করতে আসে না কেন একটিবার ? চিঠি লেখে না কেন ? রাগ হওয়াই তার পক্ষে স্বাভাবিক, কিন্তু এমন রাগ হবার মতোই কি বিকৃত তার মন যে, রাগ কিছুতেই কমে না, অন্তত চিঠির জবাবে দু’লাইন একটা চিঠি লেখার মতো ? প্রমথ ক্ষুব্ধ হয়, মনটা তার খারাপ হয়ে যায়। এই যদি প্ৰতিক্রিয়া হয়ে থাকে গীতার মধ্যে তার কারাবরণ করার, ওর হৃদয়মনের কী পরিবর্তন সে আশা করতে পারে । কিন্তু যাই হোক, মুক্তি সে পেয়েছে। আত্মবিরোধী জীবনের তার অবসান হয়েছে চিরদিনের জন্য। বাকী জীবনটা শান্তিতে হোক অশান্তিতে হোক সুখে হোক দুঃখে হোক, নিজের মতিগতি আর আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য বাজায় রেখে কাটিয়ে দিতে পারবে । জেলে যখন তার জেড বছর পূর্ণ হয়েছে, হঠাৎ পীতার কাছ থেকে সে অদ্ভুত চিঠি পেল। চিঠিখানা খুব সংক্ষিপ্ত । গীতা লিখেছে : এতদিন ভেবে ভেবে সে বুঝতে পেরেছে। প্রমথ আর তার মধ্যে মনের মিল না থাকলে জীবনে তার! সুখী হতে পারবে না । তাই, নিজেকে গডে-পিটে প্ৰমথের উপযুক্ত করে তুলবার জন্য কিছুদিন সে এক শিক্ষাসদনে গিয়ে থাকবে স্থির করেছে। সে যেন কিছু না ভাবে । যথাসময়ে দেখা হবে । বার বার প্রমথ চিঠিখানা পড়ে, তার ধাঁধা ঘুচতে চায় না । শিক্ষাসদন ? এমন শিক্ষাসদন কোথায় আছে, যেখানে স্ত্রীদের গড়ে-পিটে স্বামীর উপযুক্ত করে। তুলিবার ব্যবস্থা আছে ? সাধন ভজন জপ তপ করে নিজেকে শোধরাবার জন্য কোন সাধু-সন্তাসীর আশ্রমে যাৰার বুদ্ধি করে নি তো গীতা ? অথবা মাথাটা তার খারাপ হয়ে গেছে একেবারে, পাগলামির কোকে একখানা চিঠি লিখে ফেলেছে আবােল তাবােল। নিজের দোষ যদি বুঝে থাকে। গীতা, ভাই যথেষ্ট ছিল। আদর্শহীন জীবনের ব্যর্থতা টেক্স পেলে, দায়িত্বৰোধ জন্মালে প্ৰমখ নিজেই তাকে সহজ সাধায়ণতাৰে শুধরে নিত । মনের মধ্যে নানা ভাবনা পাক খায়, কিন্তু নতুন একটা আনন্দ ও উৎসাহও atfrv-{ ob )-go ".