পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 भांनिक १jहांदनी দরজার হুড়কে খোলা তক মা চুপ মেরে থাকে। তারপর আচমকা বলে, *বিয়া করলে হয়। রেত বিরেতে বাইরে যাওয়া ভাল না বাবা ।” বাইরে যেতে নিষেধ করা নয়, সমালোচনা নয়। একটু বিবেচনা করতে বলা, ঠাণ্ডা মাথায় হিসেব করে দেখতে বলা যে একটা বিয়ে করলেই যখন চলে, এত হাঙ্গামার काछ कि । “ও সব কিছু না । কপাট দে।” তা বটে। বিয়ে একটা করলে হয় । চিন্তামণির সঙ্গে ভাব হবার পর থেকে কথাটা বেশী করে গৌরের মনে জাগছে, মার মনে পড়িয়ে দেবার কোন দরকার ছিল না । বিয়ে করার মানেও যেন তার কাছে বদলে গেছে, একটা অস্পষ্ট অভাব বোধের চাপ পরিণত হয়েছে নতুন পীড়িতের মন-কেমন করা ঔৎসুক্যে। চিন্তামণির জন্য সারাদিন তার ছটফট করার ভাগ কচি বয়সের বাড়ন্ত বৌদের পাওনা হচ্ছে, তাকে তারা টানছে চিন্তামণিকে নিজেদের টান ধার দিয়ে। নইলে চালকলেব দিকে রওনা দিযেও যার জন্য রওনা দেওয়া সেই একজনকে ছাড়া তার কেন মনে পড়বে ভোলার মেয়ে কালী, রঘুর ভগনী পাঁচী, কেষ্ট শাস্তু পরাণ রসিকদের নতুন বৌ আর দাতপুরে তার মামাবাড়ীর পাড়ায় যে একটা মোটা সোটা মেয়ে থাকে, এদের কথা ? এসব ভাল লাগে না গৌরের। ভেসে যাওয়ার সুখে মাসগুল হয়ে তীরে ওঠার কথা ভাবে, একি জলের বানে ভাসা নাকি তার, আঁ্যা ? চাষীৱ গা , কখন ঘুমিয়েছে, তার কত পরে বাবুর বাড়ী সংসারের পার্ট শেষ হয়ে ঘরে ঘরে 'আলো নিভেছে আন্দাজ করে সে পথে বেরিয়েছে। হয়তো এই একটানা দীর্ঘ প্ৰতীক্ষার উত্তেজনা শেষ হওয়ার সময় এসেছে বলেই মনটা তার বিমর্ষ হয়ে ঝিমিয়ে যায়। এ প্ৰণয় তার জুড়িয়ে গিয়ে ফুরিয়ে গিয়ে একটা তামাসায় দাড়িয়ে যাবে ? সে তামাস আজ কি গৌরের সায় ! ঘেরা শেডের নীচে পচা ধানের গন্ধ সহ্য করতে পারে না, কিন্তু তারপর চিন্তামণি এলে তার একরাশি চুলে পচা নারকেল তেলের গন্ধ তাকে বাচায়। চোখের পলকে সে টের পায় চিন্তামণিকে ছাড়া সে তো বঁাচবে না ! কিছু রাত হাতে রেখে চিন্তামণি বলে, “ইবারে এসো। এট্ট, ন! ঘুমোলি বঁচবোনি ।” শক্ত মেঝেতে শুধু একটা চাদর বিছানো বালিশহীন শয্যা ছেড়ে গৌর উঠতে চায় না । বোজার হয়ে বলে, “কাল ঘুমিয়ো, দুকুর বেলা ৷” চিন্তামণির হাসির সঙ্গে হাই উঠে। — ‘কাজ নেই কে ? মোর কাছে বাচ্চা