পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8) মানিক গ্ৰন্থাবলী পঞ্চুকে-ঠক, চোর, বেজন্ম পঞ্চ ব্যাটাকে । বোকা পেয়ে কি ঠিকানটাই তাকে ঠকিয়েছিল। আর শুধু পঞ্চই বা কেন ? নকুড়বাবু, জাফর মিয়া, নায়েববাবু ঠকাতে ছেড়েছে কে তাকে ধানে, জমিতে সবদিক দিয়ে ? প্যান প্যানিয়ে কি বলছে মালতী ? শুধু চাল, ডাল সে হাঁড়িতে চড়াতে চায়, অন্য সব আজ তোলা থাক, লুকানো থাক। তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে, লোকেও টের পাবে না তারা বিশেষ কিছু রান্না করে খাচ্ছো! ‘হঁাড়িতে তরকারী ছেড়ে দি, শীগগির হবে, তেল নুন মেখে - ” বাবুর সঙ্গে মালতী সব ঠিক করে না এলে যে রকম রাগ করবে ভেবেছিল, সেই খুন করা রাগে মাথাটা ঝিম ঝিম করে ওঠে। অটলের । চুল ধরে হ্যাচক টান মেরে মালতীকে সে মাটিতে পেড়ে ফেলে, মুখের কাছে মুখ নিয়ে হন্যে কুকুরের মত দাত বার করে ফোসে, 'খেয়ে এয়েছিস বুঝি পেট পুরে ? “খেয়ে এলে এত জিনিস দিত ?’ দমের সঙ্গে আর্তনাদ আটকে মালতী বলে ফিসফিসিয়ে, হাউমাউ করে চেচিয়ে উঠলে রাধা, মতি, বিদুর মা, মুবালা এরা সবাই ছুটে আসবে, টের পেয়ে যাবে সব । “মেরে ফেলব, খুন করে ফেলব, ন্যাকামি করৰুি श ि।' दgाल अछेव्न उठाएक রেহাই দেয়। অটলের খুশিমত রান্নার সমারোহ হবে। ভাত আর ডাল ভিন্ন ভিন্ন নয়- তাতে অনেক সময় লাগবে, উপোসী অটলের অন্ত ধৈৰ্য নেষ্ট । চাল ডাল এক সাথে চড়ক এক হাঁড়িতে, তাতে সিদ্ধ হোক কয়েকটা আলু আর সিম । বেগুন। একটা পোড়া দেওয়া হোক। উনানে । মাংস দিয়ে বঁধাকপির তারকারী হোক অন্য উনানে ভাঙ্গা কড়াইটাতে - অন্য উনান কই ? সে ভাবনা মালতীর কেন ? পোডো বাড়ির ইটের ভূপ থেকে ইট এনে অটল উনান বানিয়ে দেয়। পোড়ো বাড়ির পিছনের জংলী বাগান থেকে শুকনো ডালপাত কুড়িয়ে এনে দেয় তিন দফায়- তারপর আরেক বার জালানি সংগ্রহের চেষ্টায় বার হতে গিয়ে থমকে থেমে পেটে কাবার হাত চাপড়ে চাপড়ে বলে, “আমি এক নম্বর বোকা ! জানিস বেী, এক নম্বর বোকা আমি !’ টান দিয়ে বেড়ার খানিকটা পেড়ে ফেলে সে মালতীর দিকে এগিয়ে দেয়। উনানে গুজবার জন্য । “দ্যাখ দিকি খেয়াল হয়নি, আজ এখানে শেষ। বেড়াটা থেকে আর কি হবে ? মিছে দুটাছুটি করে মরলাম জালানির লেগে ।।’ ‘কেন এমন করতেছ?” মালতী বলে কেঁদে কেঁদে, ‘ওরা এসে তাঁধালে কি