পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

CR V3 , भानिक अंशावली নিতে আসে না। আর । আমি বলি কি, নিজেরা যেচে এবার পাঠিয়ে দেও মেয়াকে । মাসি বলে, পেটে শুকিয়ে লাথি বাটা খেতে ? কলৈকেপোড়া ছ্যাক খেতে ? খুটির সাথে দড়ি বাধা হয়ে থাকতে দিন ভোর রাত ভোর ? পিসি বলে, লাথির চোটে ফের গভী ভোপাত হতে ? না মরতে ? গভী ভোপাত ? কৈলাশ বলে আশ্চৰ্য হয়ে, ফের গভী ভোপাত ? সত্যি নাকি মাসি ? এ যে প্যাচালো ব্যাপার হল পিসি ? মাসি বলে, কিসের প্যাচালো ব্যাপার কৈলেশ ? মুয়ে মুড়ো জ্বালব তোমার ফের যদি বলবে তুমি বেয়াক্কেলে কথা । জগু আসেনি ঘন ঘন ওকে নিতে ? থাকেনি দু’দিন চারদিন করে ? পিসি বলে মেয়া না পাঠাই, জামাই এলে রাখিনি জামাই আদরে তাকে ? ছাগলটা বেচে দিয়ে খাওয়াইনি ভালমন্দ দশটা জিনিস । মাসি বলে, ফের আসুক, আদরে রাখব। যদিন থাকে। বজাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো । ঘরে এলে খাতির না করব কেন ? তবে মেয়া মোরা পাঠাব না । পিসি বলে, ন কৈলেশ, মরতে মোরা মেয়াকে পাঠাব না । বুড়ো রহমান একা খড় চাপিয়ে যায় বাহকদের মাথায়, চুপচাপ শুনে যায় এদের কথা । ছল ছল চোখে এক একবার তাকায় আহলাদীর দিকে । তার মেয়েটা শ্বশুরবাড়িতে মরেছে। অল্পদিন আগে । কিছুতে যেতে চায়নি মেয়েটা, দাপাদাপি করে কেঁদোছে যাওয়া ঠেকাতে, ছোট অবুঝ মেয়ে । তার ভালর জন্যেই তাকে জোর জবরদস্তি করে পাঠিয়ে দিয়েছিল রহমান। আহলাদীর সঙ্গে তার চেহারার কোনো মিল নেই । বয়সে সে ছিল অনেক ছোট, চেহারা ছিল। অনেক বেশি রোগা । তৰু আহলাদীর ফ্যাকাশে মুখে তারই মুখের ছাপ রহমান দেখতে পায়, খড়ের আঁটি তুলে দেবার ফঁাকে যখনি সে তাকায় আহ্লাদীর कि। ' কৈলাশ বলে তবে আসল কথাটা বলি । জগু মোকে বললে, এবার সে মামলা করবে। বৌ নেয়ার জন্যে। তার বিয়ে করা বৌকে তোমরা আটকে রেখেছ বাদ মতলবে, পয়সা কামােচ্ছ। মামলা করলে বিপদে পড়বে। সোয়ামী নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই। জেল হয়ে যাবে তোমাজের । আর যেমন বুঝলাম, মামলা জগু করবে। আজি কপালের মধ্যে। ময়ৰে তোমরা