পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6ło भांनिक थंहांदáौ পুঁই ডাঁটার চচ্চরি৷ আর কুচাে চিংড়ির টক দিয়ে তিনটে কঁাচা লঙ্কা চিবিয়ে সে ভাত খায়। কঁাসার ভাত শেষ করে একবার চেয়ে ছোট একমুঠো ভাত পেয়েও আবার সে ভাত চাইতে তার মেজ-সেজ দুই মামী মুখ চাওয়াচাওয়ি করে আর দুজনেই প্ৰায় এক সঙ্গে অনেক দুঃখের পোড়া একটু হাসি হেসে গৌরকে আরও ভাত দেয় । ভাগ্নে এসেছে মামার বাড়ী, নিজেরা উপোস দিয়েও তার পেটটা ভরাতে হবে বৈ-কি মামীদের। গৌরের মামাদের অবস্থা চিরদিনই মন্দ, দুর্বৎসরে বড় কষ্টে দিন যায়। কিন্তু মানুষ তারা পরম শান্ত, সন্তুষ্ট এবং ধামিক, একান্নবর্তী আদর্শ চাষীর পরিবার। গোয়ার শুধু গৌরের ছোট মামা রাধাচরণ। তার ঘরে মন নেই, চাষে মন নেই। গায়ে মন নেই। বছরে দু’তিন মাসের বেশী সে বাড়ী থাকে না । কোথায় যায়, কি করে স্পষ্ট করে কোনদিন সে কিছু বলেন, হঠাৎ একদিন কিছু টাকা নিয়ে বাড়ী আসে, বাকী খাজনা বা ঋণ বা অন্যান্য আপদ বিপদ থেকে বঁচিয়ে দেয় সংসারকে তখনকার মত, কিছুদিন পরে আবার উধাও হয়ে যায়। অদ্বৈত বলে, ‘মজুৱগিরি করে নির্ঘাৎ, কুলি খাটে। চেহারা দেখছি না মজুরের মত হচ্ছে দিনকে দিন ? কেউ বলে, “মজুরগিরি করে টাকা আনবে ইস রে!” অদ্বৈত” বলে, “ভারি টাকা। বিশ পঁচিশটাকার বেশী টাকা এনেছে কোনবার ?” গৌরের এই ছোট মামাটির একখানি চিঠি এসেছে। অদ্বৈতের নামে দিন তিনেক আগে, এখনো সেই চিঠি নিয়ে পাড়াশুদ্ধ মামার বাড়ীটি সরগরম হয়ে আছে। কলকাতার কাশীপুর থেকে শতকোটি প্ৰণাম দিয়ে রাধাচরণ নিবেদন জানিয়েছে যে চার চারটে জোয়ান মন্দ পুরুষের বাড়ীতে বসে থাকার কি দরকার আছে বাড়ীর ভাত ধ্বংস করে ? বড় আর মেজ ভায়ের বয়স বেশী - তারা ঘরে থেকে চাষ আবাদ দেখুক, তার, সেজভাই আর যোয়ান ভাইপোরা চলে যাক তার কাছে সেই কলকাতার কাশীপুরে, কাজ করে রোজগার ককক তার মত। সে কাজ জুটিয়ে দেবে। গৌরের কৌতুহল জাগে। “কি কাজ লেখেনি কে ? “লিখবার দরকার ? মজুৱগিরি, কুলিগিরি কাজ, আবার কি। জানিস গৌর, পারভু বলেন, ওটা কংসের সম্বন্দির অবতার, আমার ওই ভাইট । সংসারটা ওই ছারেখারে দেবে। বাপের কোন অভাব ছিল মোদের ? জমিজমা, গাইগারু,