পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কংক্রাট সিমেন্ট ঘাটতে এমন ভাল লাগে রঘুর। দশটা আঙ্গুল সে ঢুকিয়ে দেয় সিমেন্টের ভূপে, দু’হাত ভৰ্তি করে তোলে, আঙ্গুলের ফাক দিয়ে ঝুর কুর করে ঝরে যায়। হাত দিয়ে সে থাপড়ায় সিমেণ্ট, নয় শুধু এলোমেলোভাবে ঘাটাঘাটি করে। ষোয়ান বয়সে ছেলেবেলার ধূলোখেলার সুখ। কখনো খাবলী দিয়ে মুঠো করে ধরে, যতটা ধরতে চায় পারে না, অল্পই থাকে মুঠোর মধ্যে। হাসি ফোটে রঘুৱ ঠোঁটে । এখনো গঙ্গামাটির ভাগটা মেশাল পড়েনি -ও চোরামিটা কোম্পানি একটু গোপন করে। কি চিকন মোলায়েম জিনিসটা, কেমন মিঠে মেঘলা বরণ। মুক্তার বুক দুটির মত। বলতে হবে মুক্তাকে তামাসা করে, আবার যখন দেখা হবে। ७छे भानी थोकद्र ! • গিরীনের গাল, ছিদামের নয়। ছিদাম বিড়ি টানছে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে, ব্যাটার তিনটে আব্ব বসানো কিস্তৃত মুখ দেখলে গা জলে যায় রঘুর, গাল শুনলে আরো বেশি। রুমাল-পোছা আসছে বুঝি তার চাকে পাক দিতে, ব্যাটা হুলো বোলতা, গিরীন তাই সামলে দিয়েছে তাকে। চাটু করে কাজে মন লাগায় রঘু। গিরীনকে ভালো লাগে রঘুর, লোকটা হলো বেড়ালের মত রাগ-চটা আর বেঁটেখাটো বাড়ের মত একগুয়ে হলেও। যত বদমেজাজী হোক, যে কোনো হাসির কথায় হা হা করে হাসে যেন শেয়াল ডাকছে ফুতির চোটে । আবার কারো দুঃখদুর্দশার কথা শুনলে বাঘের মত গুম হয়ে যায়, মাঝে মাঝে গলা খাকারি দেয় যেন রোলার মেসিনে পাথর গুড়োচ্ছে মড়মড়িয়ে । রুমাল-পোছা এলো না দিকি ? a এলো না এলো, তোর কিরে বাঙ্কোত ? ছিদাম বলে দাত খিচিয়ে, শুনার আর কােজ নেই, তাের কাজ দেখতে আসবেন ? আমি আছি কি কর্ডে {