পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিক্সাওয়ালা ময়দানে নধর পরিপুষ্ট গরুগুলি চড়িয়া বেড়াইতেছিল। ভদ্রলোক প্ৰথমে আঙ্গুল দিয়া কাছাকাছি কয়েকটি, তারপর হস্ত সঞ্চালনের দ্বারা চারিদিকে ছড়ানো সবগুলি গরু দেখাইয়া বলিলেন, ওরা সব নাকি আদর্শবাদের জীবন্ত রূপক। জীবন্ত, বাস্তব ও প্রামাণিক রূপক । জীবন্ত যে তাতে আর সন্দেহ কি। বাস্তব প্রমাণেই । বাংলার সমস্ত গোহাটী, মাঠঘাট ও গো-পোষা গোরস্ত ঘরে প্রত্যক্ষ, শহর ও মফস্বলের দুধের স্বাদ-গন্ধ ভোলা বা স্বাদ-গন্ধ না-জানা ছেলেপিলেগুলির সংখ্যা ও চেহারায় তথ্যমূলক এবং চিতার ধোঁয়া ও কবরের মাটিতে পরোক্ষ প্ৰমাণ। — হোয়াটু, আঁা আঁ, হােয়াট ? ঠিক না ? তার ঢুলু ঢুলু লাল চােখে জল আসিয়া পড়িল । না চাহিতে গছানো সরকারী বিবৃতির মত আমার পাঁজরে সজোরে আঙ্গুলের খোচা মারিয়া স্বীকার করিলেন যে, হুইঙ্কি খাইতেছিলেন। মোটে চার পেগ । নেশা হয় নাই। নেশা হয় না। নতুন কণ্টক্ট পাইলে, বিলের টাকা পাস হইলে, ট্যাক্সের নােটিশ আসিলে ব্যাঙ্কে কত ছিল কত হইয়াছে আর কত হইবে ভাবিলে এবং এরকম আরও কতগুলি বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে বুকটা তার ধড়ফড় করে, দিনের বেলাই খান। দিনে শুরু করা প্রায় অভ্যাস হইয়া গিয়াছে। কিন্তু নেশা হয় না। ময়দানে একটু হাওয়া খাইতে আসিয়াছেন। ভগবান যদি দয়া করেন, ফিরিয়া গিয়া আর গোটা চারেক পেগ খাইলে সন্ধ্যাতক নেশা লাগিতে পারে। বঁাচাই অসম্ভব দাদা। টাকায় দু’সের দুধ, তার অর্ধেক জল, তাও পাওয়া মূৰিল। বিয়াওয়াল ছ'আনা নিলে—শালা স্নাডি ডাকাত। ওই হােটেল আর এই মনুমেন্ট, এইটুকু আসতে ছ’আনা-ছ’ছ’ গাঁও পয়সা ! দেশ क्रि अद्बांधक? আলোককে নামাইয়া দিয়া রিক্স রাখিয়া অ্যাসফন্ট দেওয়া ময়দানী ফুটপাথের