r शांनेिक शत्रौ রামঠাকুর। ব্যবসা বৈকি মধু। অন্ততঃ পেশা তো বটে। আমি কিছু বুঝিনে ভেবো না হে। ভক্তিতে কেউ একটি পয়সা দেয় না, যা দেয় ভয়ে। উকিল, মোক্তার, কোবরেজ, ডাক্তারের মত আমিও মোচড় দিয়ে যা পারি। আদায় করে নিই। চল চাইতো আমার। ওদের মত আমিও চক্ষুলজার বালাই বিসর্জন দিয়েছি। মধু। যেতে না বলে আপনি সবাইকে যেতে বারণ করেন না কেন ঠাকুরমশায় ? ষে ভাবে সব দিশেহারা হয়ে সব পালাচ্ছে, দুরবস্থার সীমা থাকবে না। আপনি জোর করে বললে হয় তো অনেকে যাওয়া বন্ধ করবে। রামঠাকুর । কেউ যাওয়া বন্ধ করবে না। বাবা । ষে আতঙ্ক জন্মেছে, স্ত্রী পুত্র ফেলে যে সবাই উদ্ধশ্বাসে ছুটি দেয় নি। তাই আশ্চৰ্য। কথা কেউ শুনবেন মধু। যদি শুনাত, বলে দিতাম। এ বছর যাত্রা করার একটাও ভাল দিন নেই, সম্বৎসর অযাত্ৰা । যাত্ৰা করিয়ে কিছু কিছু পাচ্ছি, সে পাওয়ার লোভ নয় ছেড়েই দিতাম । মধু। লোভ আপনার নেই। ঠাকুরমশায় । রামঠাকুর । আমি কলির ব্ৰাহ্মণ আমার লোভ নেই, বলে কি হে ! লোভ আমার ধর্ম। কথা যারা শুনবে জানি, তাদের থাকতে বলছি মধু। তা ও ওই লোভের হিসেবে । সবাই চলে গেলে আমার ব্যবসাঁই যে মাটি হবে । যত জনকে রাখা যায় ততই আমার লাভ । ছোটলাল ও মাখন এসে দাঁড়াল। ছোটলাল মধুর চেয়ে কয়েক বছরের বড়, স্বাস্থ্যবান সুশ্ৰী চেহারা, শ্যামবর্ণ। সাধারণ গ্ৰাম্য গৃহস্থের বেশ, মোটা কাপড়, সুতার মোটা কাপড়ের কোট, সন্তা মোটা গরম চান্দর। পায়ে জুতো আছে, শিশির ভেজা মাটি লাগানো। মাখন তার সমবয়সী কামারের কাজ করে। গায়ে ফতুয়া, চান্দর। কাপড় জামা ঘরে কোচে লালচে রকম সাফ করা। দেখলেই বোঝা যায় কোথাও যাবে বলে তৈরী হয়েছে, কারণ চুলও মোটামুটি আঁচড়ানো । मभू। आंद्र, cशछेबाबू! ছোটলাল। ছোটবাবু ডাকটা বদলাতে পার না মধু ? শুনলে মনে হয় আমি যেন তোমাদের জমিদারের ভাই অথবা ছেলে, ছোট তরফ । সবাই ছোটবাবু বলে, তুমি ছোটবাবু বলে আমায় ছোট করে দাও কেন ? রামঠাকুর । ছোট করে দেয় ! হা হা হা ।
