ভিটে Ve o 9 মাখন। ভূষণের হাতে ছেড়ে দিলি পদিকে ? শাস্তুকে বিপদে ফেলে পদিকে ও হাত করবে নিৰ্যাৎ। আষ্টে পিষ্টে বেঁধেছে শাস্তুকে। মধু। আমি কি করব ভাই। সবাইকে বারণ করছি গা ছেড়ে যেতে, জোর গলায় বলেছি গায়ের সবাই পালালেও আমি পালাব না, মা বোনকে পাঠাব না । নিজেই পালাব এখন ? মরলেও তা পারব না । মাখন। এমনি যদি হানা দিতে থাকে ? মধু। তা হলেও পালাব না। আর ও যদির হিসেব ধরলে কি কুল কিনারা পাব ভাই ? ছোটবাবু বলেন, যদি লাগিয়ে সব কিছু ঘটানো যায়, সব কিছু বাতিল করা যায়। বুঝে শুনে তলিয়ে বিচার করে দেখতে হবে সব কথা । আমার মনে বড় লেগেছে কথাটা। পালাব কোথায়? সমৃদ্ধর ডিঙ্গিয়ে যদি যেতে পারতাম অন্য দেশে। তবে নয় কথা ছিল । মাখন। আমিও তাই ভেবে আনতে যাচ্ছি বৌটাকে । মধু। ভাল করেছিস। মা বোনকে মামাবাড়ী পাঠাবার কথাটাও কানে তুলি নি। আমি । একজনকে ভয় পেতে দেখলে দশজনে ভয় পায় । একজনের সাহস দেখলে দশজনে সাহস পায় । মাখন। কি কাণ্ডটাই চলেছে দেশ জুড়ে । মধু। দেশ জুড়ে আর কই চলল ভাই। দেশ জুড়ে চললে কি আর ভাবনার কিছু থাকত, একদিনে সব ভয় ভাবনা চুকে যেত। ছোটবাবু গোড়ায় এসে তাই বলেছিলেন। তখন ভালো রকম বিশ্বাস করিনি কথাটা । এখন সবাই জানিছি। এ শুধু মোদের এলাকা। ছোট এলাকা পেয়েছে বলেই না বেড়া জালে ঘিরে প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পেয়েছে, যা খুন্সী করছে। এ এলাকার বাইরের মানুষ নাকি জানেও না কি হচ্ছে এখানে। লোকের মুখে দু’চার জন মাত্তর কিছু কিছু শুনছে। মাখন। শুনছি, কটা গায়ের ধারে কাছে যেতে নাকি ভরসা পায় না। ভাবলে হাতুড়ি ঝুঁকতে হাতে যেন জোর বাড়ে । মধু। কি তেজ, বুকের পাঠা, ভাবলে বুক ফুলে ওঠে সত্যি। আবার যখন ভাবি, কটা মোটে গী, তখন দুঃখ হয়। যেমন বন্যা, তেমনি বাঁধ না হলে কি ঠেকানাে যায়। বাঁধ বন্যায় ভেসে যায়। তবে সময় আসবে, বাঁধ আমরা বেঁধে তুলব। সবাই মিলে হাত লাগাব। সময় আম্বক। মাখন। সময় কৰে আসবে ভাবি ৷
