পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिdछे शाि 9 দশ বিশ গণ্ডা সৃষ্টিছাড়া কথা জিগেস করবে, জবাব দিতে দিতে প্ৰাণান্ত । তার আবার অৰ্দ্ধেক কথার জবাব হয় না। ছোটলাল । তবু তোমার জবাব ওরা ভাল বােঝে মধু। আমি এত পরিষ্কার আর সহজ করে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করি, মুখ দেখেই টের পাই সব কথা মাথায় ঢুকছে না। তুমি জড়িয়ে পেঁচিয়ে সেই কথাই বল, সবাই মাথা নেড়ে ቕቫ፲፬ Cቫጃ ! মধু । আমিও মুখু্য, ওরাও মুখু, তাই আমার কথা সহজে ধরতে পারে । ছোটলাল। ( হেসে) মনে হল যেন গাল দিলে মধু। মধু। না, ছোটবাবু। আপনার কথাই তো আমি বলি, একটু অন্যভাবে বলি। আপনি কত পড়াশোনা করেছেন, কত ভাবেন, সব কথা নিখুঁতভাৰে সাজিয়ে গুজিয়ে বলতে পারেন । এর জন্মে থেকে উল্টোপাল্টা এলোমেলো করে সব ভাবতে শিখেছে, গুছিয়ে কিছু বললে বুঝতে পারে না, হ্যা করে থাকে। বেশী বেশী চাষ করা দরকার কেন কানাইকে কাল তা অত করে বোঝালেন, লঙ্কার ক্ষেতে মুগাকলায়ের চাষ করতে বললেন। আমি মুখ দেখেই বুঝেছিলাম, ব্যাটা কিছু বোঝে নি। চালের চালান বন্ধ, ভাত কমিয়ে ডালটাল বেশী খেয়েও মানুষ বঁাচতে পারে, বিশ মণ লঙ্কার চেয়ে একসের মূগাকলাই মানুষের বেশী দরকারী, এসব কথা কি ওর মাথায় ঢোকে ! ওর মাথায় শুধু ঘুরছে, ক্ষেতে লঙ্কা ভাল ফলে, মুগাকলাই সুবিধা হয় না, তবু কেন লঙ্কার বদলিতে মুগাকলায়ের চাষ করবে! রাত হলে বাড়ী ফিরে দেখি ধন্ন দিয়ে বসে আছে। আমায় দেখেই ভয়ে ভয়ুে বলল, কিছু তো বুঝলাম না মধু। মুগাকলাই দিলে যা ফসল হবে, লঙ্কা বেচে তার দুগুণ বাজারে কিনতে পাব। ছোটবাবু মুগাকলাই বুনতে তবে বলেন কেন ? আমি বললাম, ওরে গোমুখুৰী, শোন। ঘরে তোর আতিথ এলো । দু'দিন খায় নি । তুই এক ডালা লঙ্কা আর চাট ভেজানো মুগা সামনে ধরে জিগেস করলি, ওগো অতিথ মশায়, পেট ভরে লঙ্কা খাবে না। এই দু'টিখানি মুগ চিবােবে ? অতিথ কি করবে বল তো ? তারপর বললাম, লঙ্কা নিয়ে হাটে বেচাতে গেলি, গিয়ে দেখলি হাটে শুধু তুই আছিস আর আছে জগন্নাথের বাপ, কলাই বেচিতে এসেছে। - ১ রামঠাকুর। মোটে দুজন জিনিস বেচিতে গেছে, সে কেমন হাট মধু ? মধু । ওমনি করে না বললে আসল কথাটা ওরা ধরতে পাৱে না ঠাকুরমশায়।