পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V83 भांनिक 6jहांदली নকুড়। ও পদ্মা, বঁচা আমায়। গলায় ফাস লািগল! ( রামঠাকুর উড়ানি খুলে নিতে) সবাই এলে বলিস। কিন্তু আমি কিছু করি নি, আমি চলে যাচ্ছিলাম। গোড়াতেই স্পষ্ট করে বলিস পদ্মা । তোর বলতে বলতে যেন কেউ কোপটোপ না বসিয়ে দেয় । রামঠাকুর। রাম, রাম ! বিদেয় কান্না কঁদতে এসেছিস তাকি জানি আমি ! বাজা বাজা শাখটা বাজা শীগগির । (পদ্মা শঙ্খ মুখে তুলে তিনবার বাজালো। চারিদিকে বঁাশীর শব্দ মিলিয়ে গেল। ) নকুড় । তিনবার শাখ বাজালে কেউ আসবে না নাকি ? পদ্মা। আসবে। বঁাশী যখন বেজেছে পাড়ায় যারা পাহারা দেয় তাদের একজন খোজ নিতে আসবেই। সঙ্গে শাখ এনে তুমিও তো তিনবার বাজিয়ে দিতে পারতে । নিকুড় । তা দিতাম না পদ্মা, দিতাম না । আমি তোর অনিষ্ট করতে চাই নি । তোকে আমি ছেলেবেলা থেকে স্নেহ করি পদ্মা । রামঠাকুর । কার ছেলেবেলা থেকে ? (মধুৱ প্ৰবেশ। মাথায় এখনো তার ব্যাণ্ডেজ বাধা । হাতে মোটা একটা লাঠি। সঙ্গে ছোটলাল, কাদের, আমিরুদ্দিন, আজিজ ও শাস্তু।) শঙ্কু। কি হয়েছে পদ্মা ? পদ্মা । দে’মশায় আমার কোন অনিষ্ট করতে না চেয়ে একটা পান্ধী আর পাঁচ সাত জন ষণ্ড গোছের লোক সাথে নিয়ে এসেছিলনকুড়। আমি তাের কুিছুই করিনি পদ্মা! পদ্মা। ভয় পাচ্ছি কেন দে’মশায় ? আমি কি বলেছি তুমি কিছু করেছি? তারপর আমার কোন অনিষ্ট না করেই দে’মশায় চলে যাচ্ছিলেন, ঠাকুরমশায় দেখতে পেয়ে বঁাশী বাজিয়ে গলায় গামছা দিয়ে টেনে এনেছেন। রামঠাকুর। গামছা নয়, উড়েনি। পূজোর ফুল পাতা নৈবেদ্য বাধা হয়, এ উড়ানি অতিশয় পবিত্র। গলায় দিলে কারো অপমান হয় না । স্পর্শে বরং পুণ্য হয়। ‘মধু। দুর্মতির কি তোমার শেষ নেই দে’মশায় ? কখনো ভুলেও সোজা পথে চলতে পার না ? মাঝে মাঝে সাধ যায় তোমার মনটা কি দিয়ে গড়া