পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिप्ने भि VV তাই দেখতে। আধ পেটা খেয়ে দিন কাটত, নিজের চেষ্টায় অবস্থা ফিরিয়েছ, ঘরবাড়ী টাকা পয়সা লোকজন কোন কিছুর অভাব তোমার নেই। দুঃখকষ্ট সয়ে উন্নতি করার কথা বলতে লোকে তোমার কথা বলে। তুমি তো অপদাৰ্থ নও। বুদ্ধিমান লোক তুমি। সাধ করে কেন বঁকা পথে চলে অন্যায় কাজ করা ? ভাল কর না কর, পরের ধানে মই না দিয়ে শুধু মানিয়ে চললে দশজনে তােমার নাম করত, খাতির করে চলত তোমায়। তার বদলে অন্যায় কাজ তুমি করেই চলেছ একটার পর একটা । তিন গায়ের মানুষ এক হয়ে তোমার ঘরদুয়ার জালিয়ে তোমাকে খুন করতে গেল, গায়ের বাস তুলে তোমায় দেশছাড়া হতে হচ্ছে, তখনও তোমার এই মতিগতি । নকুড়। ( তেজের সঙ্গে ) তুই আমাকে তত্ত্ব কথা শোনাস না মধু। মধু। আবার তুই তোকারি আরম্ভ করলে ? নকুড়। মারবি? আয় মধু, মার। আর তোকে আমি ভয় করি না। তোর বাহাদুরী ঢের সয়েছি, আর সইব না। আয় এগিয়ে, এই বুড়ে বয়েসে তোর সঙ্গে আজ আমি হাতাহাতি মারামারি করব। আয় বলছি পাজী বজ্জাত হারামজাদা—গাল দিলাম যাতা বলে, মারমুখো হয়ে আয় দিকি একবার। তুই একটা ছোরা নে, আমায় একটা ছোড়া দে। একটা হেস্তনেস্ত হয়ে যাক তোতে আমাতে। কইরে শুয়ার আয় ? আজ যে বড় গাল শুনেও রাগ হচ্ছে না তোর! বাপ তুলে গাল দেব ? মধু। মুখ সামাল দে’মশায়! নকুড়। তোর ভয়ে ? গায়ে তোর জোর বেশী বলে ? গাঁয়ে মেয়েগুলো পর্যন্ত ভয় ডর ভুলেছে, কোমরে ছোরা গুজে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়েছে, আমি পুরুষ হয়ে তোকে ডরাব ? নে, গাল আর দেব না। কিন্তু খুন তোকে আজ আমি করব মধু। নয় তোর হাতে আজ খুন হব। তুই আমাকে সাতপুরুষের ভিটে ছাড়া করেছিস, কুকুর বেড়ালের মত আমায় গা ছেড়ে পালাতে । হচ্ছে, তোকে যে জ্যান্ত রেখে যাচ্ছিলাম কেন তাই ভাবি। লাঠি, ছোরা, রামদা, যা খুলী একটা নে মধু, চ' দুজনে বাগানে যাই। শাস্তু। কেন মাথা গরম করছি। দে’মশায় ? রওনা হয়ে বেরিয়েছ বাড়ী থেকে, যেখানে যাচ্ছিলে চলে চাও । কাদের। কত বড় খারাপ মতলব নিয়ে এ বাড়ী ঢুকেছিলে, ভুলে গেছ এক্তি