পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

团 গৌরের ঘরে আজ আবার চাল নেই। মা বলে, “ওবেলা হাঁড়ি চড়বে না গৌর। চাল বাড়ন্ত ।” আরও কয়েক দিন চলত, পুটুকে না খাওয়াতে হলে। কি ভাতটাই খায় এতটুকু মেয়ে! কম দিয়ে এড়িয়ে যাবায় যে নেই, যতক্ষণ না পেট ভরে, ফুপিয়ে ফুপিযে একটানা কেঁদে চলবে ভাতের জন্য। পেট মোটা ক্যাংটা পুটুর দিকে চেয়ে গৌরের মনে আজ আপসোস জাগে যে চাঁদকাক’তার না খেয়ে মরে গেছে। বেঁচে থেকে আরও কিছুকাল তিলে তিলে তার মরা উচিত ছিল। বৌ আর ছেলে শুধু নয়, এই মেয়েটা চােখের সামনে মরবার পরেও অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা উচিত ছিল চাদককার । নিজের আত্মীয় এত বড় শত্রু হয় মানুষের ? বেঁচে থাকতে আজীবন শত্রুত করে গেছে, মরেও শক্রিতা করে গেল। কতকাল না খেয়ে না খেয়ে পেট চিমসে হয়ে গিয়েছিল পুটুর, হঠাৎ দু’বেলা বেশী ভাত গিলে মরতেও সে পারত। উচিত ছিল তাই। অথচ কাণ্ড দ্যাখো অদ্ভুত, কদিনে চেহারা যেন ফিরতে সুরু করে দিয়েছে মেয়েটার। মুখের বীভৎস শীর্ণতা থেকে মৃত্যুর ছাপ মুছে যেতে আরম্ভ করেছে। পাতে ভাত কম ছিল, রোজ যা খায় তার অৰ্দ্ধেক। শেষ করে ভাত চাইতে মা একটু ইতস্ততঃ করে, কি যেন বলতে গিয়ে চুপ করে যায়। তারপর আরও ভাত এনে ঢেলে দিতে যায় গৌরের পাতে। মা’র রকম দেখে খটকা লেগেছিল গৌরের মনে, দু'হাতে পাত ঢেকে সে বলে, 'ािएछ७, ािफुi७ । अन्न आोgछ 6ऊ| उठाऊ ?' 'डूछे श्र। न।' कैिङ्कु তা কি হয় ? মাকে উপোসী রেখে পেট ভরাতে পারার মত খিদের স্বাদ এখনে৷ গৌর পায়নি। লোভে পড়ে শেষ পর্যন্ত কিছু ধান রঘু আর সে বেচে দিয়েছিল। কিন্তু সে খুব বেশী নয়। তাদের দু’জনের বাড়ীতে তাই এখন পর্যন্ত দুবেলা হাঁড়ি চড়ছে। গৌরের মন মুচড়ে গেছে আতঙ্কে, গরু ছাগলের মত চারিদিকে জানাশোনা মানুষগুলিকে মরতে দেখে, দিশেহাৱা হয়ে পালাতে