প্ৰাণ ধুৰুপুত্ব করে না গণেশের। বিস্ময় আর উত্তেজনা অভিভূত করে রাখে তাকে, আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়তে বুঝি খেয়ালও হয় না। তার। বিশ-বাইশ বছর বয়সের জীবনে এমন কাণ্ড সে চোখে দেখেনি, মনেও ভাবেনি। এত বিরাট, এমন মারাত্মক ঘটনা, এত মানুষকে নিয়ে। এ তার ধারণায় আসে না, বোধগম্য হয় না। তবু সবাই যেন সে বুঝতে পারছে, অনুভব করছে, এমনি ভাবে চেতনাকে তার গ্রাস করে ফেলেছে রাজপথের জনতা আর পুলিসের কাণ্ড। সেই যেন ভিড় হয়ে গেছে নিজে। ভিড়ে সে আটকা পড়েনি, বন্ধ দোকানটার কোণে যেখানে সে দাড়িয়েছে যেখান থেকে পাশের সরু গলিটার মধ্যে সহজেই ঢুকে পড়তে পারে যখন ইচ্ছা হবে তার এখােন থেকে সরে যেতে । কিন্তু যাবে কি, সে বাধা পড়ে গেছে আপনিই। জনতার গর্জনে, গুলির আওয়াজে, বুকে আলোড়ন উঠছে, চঞ্চল হয়ে উঠছে শিরার রক্ত। ভয় ভাবনা চাপা পড়ে গেছে আড়ালে। ভয়ে নয়, নিজেকে বঁাচাবার হিসাব কষে নয়, হাঙ্গামা থেকে তফাতে সরে যেতে হয় এই অভ্যন্ত ধারণাটি শুধু একটু তাগিদ। দিচ্ছে পালিয়ে যাবার। কিন্তু সে জলো তাগিদ । হাঙ্গামা যে এমন অনড় অটল ধীর স্থির হয়, বন্দুকধারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মানুষ এদিক ওদিক এলোমেলো ছুটোছুটি করে না, এ তার ধারণায় আসে না । এ কেমন গণ্ডগোল যেখান থেকে কেউ পালায় না। তাই, চলে যাবার কথা মনে হয়, তার পা কিন্তু অচল। কেউ না ° 6न प्रत्यः (कशन यः । তা ছাড়া, মনে তার তীব্ৰ অসন্তোষ, গভীর কৌতুহল। এমন অঘটন ঘটছে কেন, থেমে থাকছে কেন তার গায়ের পাশের হলদি নদীতে পূর্ণিমার কোটালের জোয়ার ? দেড় ক্রোশ তফাতের সমূদ্র থেকে উন্মত্ত কোলাহলে ছুটে আসছে যে মানুষ-সমান উঁচু জলের তোড়, তা তো থামে না, কিছু তো ঠেকাতে পারে না। তাকে। কত পূর্ণিমা তিথিতে অনেক রাতে সে চুপিচুপি কঁপি খুলে বেরিয়ে গেছে DB BBB DDSDDDB DD DS DDD BBDBBD D DBB D BD কোটালের জোয়ারের রোমাঞ্চকর আবির্ভাবের জন্য। দিনে ভঁাটার নদীর কাদায় শুয়ে কত কুমীর রোদ পোহায়। দেখে মনে হয়, DB BB D DBD BDDD DDD S DB BB DS DBB BBD DD BB DDD বেগে জলকে লম্বা রেখায় কেটে হাঙর গিয়ে শিকার ধরে। কাদা-জলে। লাফায় কত অদ্ভুত রকমের মাছ। কেমন তখন বিষন্ন হয়ে যায় গণেশের মন। আহা, দুখী নদী গো, হাঙর কুমীর মাছ মিলে কত জীব, তবু যেন জীবনের স্পাদন নেই, ডাইনে
