পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སའམ་ भांत्रिक . . বঁয়ে যত দূৱ তাকাও তত দূর তক। এই নদীতে প্ৰাণ আসবে, স্বয়ং পাগলা শিবঠাকুর যেন আসছেন নাচতে নাচতে বিশ্বব্ৰাহ্মাও কঁাপিয়ে সাদা ফেনার মুকুট পরে, তেমনি ভাবে আসবে প্ৰাণের জোয়ার। গনেশের প্রাণেও আনন্দ এত, যা "भांत्रिों यश ना । সেই অভ্যস্ত, পরিচিত, অতি ভয়ানক, অতি উন্মাদনা য় কোটালের জোয়ার যদি বা মনে ধেয়ে এল গর্জন করে গা ছেড়ে আসবার এতদিন পরে শহরের পথে সে জোয়ার থেমে গেল, বসে পড়ল ফুটপাথে পিচের পথে। এ কেমন গতিহীন -গর্জন, সাদা ফেনার বদলে এ কেমন কালো চুলের ঢেউ। গুলি লেগেছে না কি ? না লাঠি ? ওসমান জিজ্ঞেস করে গণেশকে দ্বিধা-সংশয়ের সুরে, গভীর সমবেদনায়। দোকানের কোণে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে আছে ছেলেট, ঠিক কোথা থেকে রক্ত বেরিয়ে ভিজিয়ে লাল করে দিচ্ছে গায়ের ময়লা ছেড়া। ফতুয়াটা ঠিক বোঝা যায় না । গুলি যদি লেগেই থাকে, যেখানেই লেগে থাক, দাড়িয়ে আছে কি কয়ে ছেলেটা, ফতুয়ার বুকের দিকটা যখন চুপসে যাচ্ছে রক্তে ? চােখের চাউনিট অদ্ভুত। মরা মানুষ যেন বেঁচে উঠে তাকিয়ে আছে বিহািবলের মতো। কুলি-মজুরিই সম্ভবত করে । মোটটা নামিয়ে রেখেছে। “আ ? কি জানি বাবু।” অত্যন্ত ক্রুদ্ধ শোনায় গণেশের গলা, ‘এরা এগোবে न बांबू? বাৰু! খচ করে একটু আঁচড় লাগে। ওসমানের বুকে । কালিবুলি মাখা এই হাফশার্ট পরনে, রংচটা সুতোওঠা নীল প্যান্ট, পায়ে জুতো নেই, দাড়ি কামায়নি সাত দিন। তবু তাকে বাবু বলে ছেলেটা। ঘূণ্য বাবু বলে গাল দেয়! ট্রামের কাজ ছেড়ে দেবার চলতি আপসোসটা আরেকবার নাড়া খায় ওসমানের। এ আপসোস তেজী হয়েছে ওসমানের গত ধর্মঘটের সাফল্যের পর। ট্রামের সেকেণ্ড ক্লাসেও কেউ কোন দিন তাকে বাবু বলে অপমান করেনি। তবে ই্যা, এ ছেলেটা মুট-মজুরি করে, । গা থেকে এসেছে বোধ হয়। নেহাত পেটের খিদের তাড়নায়। ভিখারী আর মুট-মজুৱ ছাড়া সবাইকে বাবু বলা অভ্যাস হয়ে গেছে। ‘এরা বসে দাড়িয়ে থাকবে বাবু এগোবে না ? এবার ক্ষীণ শোনায় গণেশের গলা জোমায় আটকানো কাশির রুগীর গলার মতো, রক্তে আটকানো যক্ষ্মা রুগীর গলারও মতো । “এগোবে না তো কি ?’ ওসমান মৃদু হেসে বলে, নিঃসংশয়ে। পিছু হট ছত্ৰখান হয়ে পালিয়ে যখন যায়নি। সবাই, লাইন ক্লিয়ার না পাওয়া ইঞ্জিনের মতো শুধু নিয়ম আর ভদ্রতার খাতিরে থেমে থেমে ফুসছে এগিয়ে যাবার অধীরতায়, TBB LB K LDDDD DDSS sBDBD DBD BBB sLD S