পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

itሦbም शांनिक यंहांदर्वौ “তুমি কোন ক্লাসে পড় রাজত ? “যে ক্লাসেই পড়ি না।” "রাগ করলে ?” নারায়ণ অনুনয় করে বলে, যে ক্লাসেই পড়, সে কথা বলিনি। अभि अन्J कशों दक्लछिलाभ ।' “কি বলছিলেন ?? ‘বলছিলাম কি, স্কুলে তো এসব শেখায় না, তুমি যে এসব কথা এমন আশ্চর্য রকম বোঝ, এসব তোমায় শেখাল কে ? রাজত সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয়, “আমিই শিখেছি, খানিকটা দিদি শিখিয়েছে।” মুখ কাছে এনে অতিবড় গোপন কথা বলার মতো নীচু গলায় রাজত বলে, “ওইখানে দিদি বসে আছে- তাকবেন না । আমি এখানে আছি টের পায়নি।” নারায়ণ গম্ভীর হয়ে বলে, “উনি। কিন্তু টের পেয়েছেন রজত ।” শুনে রাজত ভড়কে যাবে ভেবেছিল নারায়ণ, কিন্তু রাজত জিভে ঠোঁটে তার সেই অদ্ভুত আওয়াজটাই শুধু করে একবার। —“টের পেয়েছে ? আপনি কি করে জানলেন ?? “দু তিনবার তোমায় ডাকলেন নাম ধরে । শুনতে পাওনি ? কোন বিষয়ে এক মুহূর্তের জন্য ইতস্তত করা যেন স্বভাব নয় বুজতের । ঘােড় উচু করে দিদির দিকে মুখ করে সে চেচিয়ে ডাকে, ‘দিদি ! ডাকছিলেন নাকি আমায় ?” শান্তি বলে, “এদিকে আয় । কথা শুনে যা ।” “কি করে যাব ?” রজত প্ৰতিবাদ জানায়, ‘জায়গা বেদখল হয়ে যাবে আমার ।” আরও গলা চডিয়ে বলে, “যা বলবার বাড়িতে গিয়ে বোলো, কেমন ? অনেক দিন পরে নারায়ণ কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে, নিদারুণ হতাশার জালা যেন তার নেই। আর । আশ্চর্য রকম শক্ত আর সমর্থ মনে হয় নিজেকে । তারই দুঃসহ আক্রোশের যে চাপ তাকেই ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা যেন ' কার্যকরী শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে সে অনুভব করে। পুঞ্জ পুঞ্জ সঞ্চিত যে ঘূণা, জীবন্ত মর্মান্তিক ঘূণা, অস্থির চঞ্চল করে রাখে তাকে সব সময়, নতুন করে নাড়া লাগলে যেন উন্মাদ করে তোলে, নিজে বয়লারের মতো শক্ত হয়ে সেই প্ৰচণ্ড ঘূণার বাষ্পকে সে যেন আয়ত্ত করেছে এখন, চাকা ঘুরবে এগিয়ে যাবার। তারই মতো এদের সবার বুকে ঘূণা, এতটুকু ছেলেটার পর্যন্ত। কিন্তু সে আর পরাজিতের, পদদলিতের নিস্ফল আক্ৰোশে জলে পুড়ে মরার ঘুণ নেই, তা এখন জয়লাভের প্রেরণার উৎস।