পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ref তামাসা করে রেখেছে। জালালুদিনের আটটি ছেলেমেয়ে, বাইশটি নাতি নাতনি আর তিনটি পুতি পুতনী-মরাহাজ বাদ দিয়ে। কাছে সবাই ' থাকে না, জীবিকার জন্য ছড়িয়ে গেছে। কাছে ও দূরে। যারা আছে তাদের নিয়েই তার মস্ত সংসার, বীরেশ্বরের সংসারের মত । সাংসারিক মিলের জন্যই হয়তো দু’জনের মিতালি, নয়তো দু’জনের প্ৰকৃতিতে মিল বড় কম। বীরেশ্বর রগাঁচটা বদমেজাজী, জালালুদিন ধীর স্থির শান্ত প্ৰকৃতির মানুষ। এমনিতে মনে করাই কঠিন ষে জালালুদিনের মধ্যে তেজ বলে কিছু আছে। গায়ের জীবনে, চাষীর জীবনে, ছোটখাট সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এর সঙ্গে অথবা ওর সঙ্গে। বিবাদ করতে বড়ই নারাজী জালালুদিন । বিবাদ বাধার কারণগুলিকেই সে যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলে, বিবাদের সূত্রপাতে কিছু কিছু ক্ষতি স্বীকার করেও অপর পক্ষকে জিতিয়ে দিয়ে নিজে হার মেনে আপোষ রফা করে, বড় স্বার্থের সংঘাতেও তার স্বার্থই বরাবর বাতিল হয়ে যায়। সন্দেহ জাগে যে মানুষটা বুঝি অপদাৰ্থ, ভীরু। বিস্ময়ের সঙ্গে মনে হয় যে এই নরম দুর্বল সাদাসিদে মানুষটা এতকাল ধরে এত প্যাচ আর এত চালাকিভৱা হৃদয়হীন কঠোর জীবন সংগ্রামে অনেকের চেয়ে বেশ খানিকটা ভালভাবেই টিকল কি করে । কিন্তু দু’চার বার গুরুতর ব্যাপারে। এই মাটির মানুষটিকেই যারা আগুনে পোড়া লোহার চেয়ে শক্ত হতে দেখেছে, কৌতুকভরা দৃষ্টির বদলে দু'চোখে আবিষ্কার করেছে জেহাদ ঘোষণা, তাদের সন্দেহ সমস্যা সব মিটে গেছে। নায়েব দীনু সরকারকে এই জালালুদ্দিন একবার হাটের চালার খুঁটিতে বেঁধে হাটশুদ্ধ লোকের কাছে তার বদ মতলবের খুটিনাটি সব কথা স্বীকার করিয়ে প্ৰায় জেলে যেতে বসেছিল। ভয় আর লোভ দেখিয়ে কুমুরিয়ার তিনটি মুসলমান যুবককে দিয়ে এমন একটা কাজ করাতে । ষাচ্ছিল দীনু সরকার, যার ফলে গায়ের হিন্দু মুসলমানে একটা বড় রকম মারামারি কাটাকাটির ব্যাপার ঘটে যেত। জালালুদ্দিনয়কে সেই নায়েবের শক্ৰতায় অনেক অন্যায় অত্যাচার সইতে হয়েছে। হঠাৎ একদিন সন্ন্যাস BLD DDDD D DL SLDBBD SBDDDBS YY BDBBB DLuDu DDD DD না। এ ধরণের কীতি আরও আছে জালালুদ্দিনের। লোকে এখনো গল্প दg । S O W9