পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांभिक ७jहांवनी কাছে গিয়ে দাড়াতে হওয়ায় বীরেশ্বরের উপর রাগটা তার আরও কয়েক ডিগ্রি by Cai হুকুম ধমক আর লাঠির গুতোয় দুদিনের মধ্যে শ'খানেক মানুষকে হেরম্বের বন কাটতে যেতে হল। কুমুরিয়ার মানুষেরাই লাঠির গুতো খেল বেশীঝুমুরিয়া থেকেই বেশী লোককে যেতে হল মাঠ ছেড়ে বনে । পাচনিখের দারোগা শৈলেন দাস বীরেশ্বর ও জালালুদ্দিনকে এ দুদিন থানার গারদে আটকে রেখে সদরে চালান দিল, দাঙ্গাহাঙ্গামা বঁধানোর চেষ্টা এবং মারপিটের অভিযোগে । পুলিশকে মারপিট নয়-ধন, কাদের ও আরও কয়েকজনকে । ধনা ও কাদেরকে বীরেশ্বর সত্যই মেরেছিল। জালালুদিন বাড়ী থেকে বেরিয়েছিল শুধু প্ৰতিবাদ করতে—জর গায়ে। শৈলেন দাসের বয়স মোটে আটাশ বছর। ফর্সা, রঙ, ছিপছিপে গড়ন সুশ্ৰী চেহারা । শিক্ষিত ভদ্র পরিবারেব ছেলে, সতর্ক, বুদ্ধিমান, উৎসাহী । একটা কথা শৈলেন জানে ও বিশ্বাস করে যে কোন বিষয়েই বাড়াবাডি করতে নেই, যতটুকু প্ৰাপ্য হেরম্বের তার বেশী খুন্সী তাকে করার গরজ শৈলেনের व्नि ब ।। * শৈলেনের ভেবেচিন্তে হিসেব করে লেখা রিপোটে তাই ব্যাপারটা বিশেষ গুরুতর রূপ নিল না । বীরেশ্বরের সাজ হল একমাস জেল এবং একশো টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাস হাজতবাস। জালালুদিনেরর শুধু তিন সপ্তাহ হাজিতবাস। তার বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ ছিল না । বীরেশ্বরের কাছ থেকে জরিমানা আদায় হলে অৰ্দ্ধেক টাকা ধনা ও কেদার পাৰে ক্ষতিপূরণ হিসাবে । ধনা ও কেদার পাবে তার জরিমানার টাকার ভাগ ! শুনেই মাথা বিগড়ে গেল বীরেশ্বরের। জরিমানা দিতে সে অস্বীকার করল। ছেলেদের বলে দিল, তারা যদি জরিমানার টাকা দাখিল করে, হাজত থেকে বেরিয়ে সে তাদের মুখদর্শন করবে না । রম্ভ কুমুরিয়া এল দিন গুণে, হাজত ফেরত বাপকে আদর করে ঘরে তুলবে। খবর সে পেয়েছিল যথাসময়েই, তাকে নিয়ে অবিলম্বে কুমুরিয়া y O We