পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৰ্পণ দিকে । ওদের একজনকে যখন অন্যায় করে তাড়াবে, তখন ফোস করে উঠে বলবেন-খপর্দার ।” '७gद्ध७ उठि6शCछ ।' ‘কাজের বদলে ঘোট করায় তাড়িয়েছে, কাজ করতে গেলেই ফিরিয়ে নেবে। হীরেনবাবুকে তাইতো সঙ্গে আনলাম। জিজ্ঞেস করুন।” ওসমান কিছু জিজ্ঞেস করল না। হীরেনও চুপ করে বসে রইল। এ বিষয়ে আর উচ্চবাচ্য না করে এতক্ষণের আলোচনাকে একেবারে যেন বাতিল করে দিয়ে কৃষ্ণেন্দু হঠাৎ বলে বসিল, ‘এক গেলাস জল দিন তো আলিসা’ব।” ওসমান ব্যস্ত হয়ে ভিতরে চলে গেল । জল আসাতে কিন্তু দেরী হতে লাগল। অদ্ভুত রকম। চাপা গলায় ওসমান ও দুটি নারীকণ্ঠের বাদানুবাদ মাঝে মাঝে কাণে ভেসে আসতে লাগল। জল আনতে গিয়ে ওসমান কি বাড়ীর মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়া আরম্ভ করে দিয়েছে ? গেলাস নেই বলে তাড়াতাড়ি গেলাস মেজে দিতে বলেছে ? অথবা শুধু জল না। দিয়ে অতিথিকে আরও কিছু দেবার হাঙ্গামা নিয়ে তর্ক আর আলোচনা শুরু श्6श्Cछ ? রুষ্ণেন্দু ও স্বীরেন মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে, ওসমান এসে সবিনয়ে বলল, ‘ভেতরে আসবেন একবার ?” শুধু কৃষ্ণেন্দুকে নয়, হীরেনকেও সে ভেতরে যাবার আহবান জানাল। ওসমান যে সত্যসত্যই তাদের বাড়ীর মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, দুজনে তা কল্পনাও করতে পারে নি। এমন কয়েকজন মুসলমান বন্ধু কৃষ্ণেন্দুর আছে, নতুন জগতের চিন্তাধারার সঙ্গে যাদের ওসমানের চেয়ে শতগুণ ঘনিষ্ঠ পরিচয়, তার চেয়ে যারা ঢের বেশী দুঃসাহসী । মনে প্ৰাণে পর্দার বিরোধী হয়েও তারা আত্মীয় পরিজন পাড়া প্ৰতিবেশীর মতামতকে উপেক্ষা করতে পারেনি । ছোট উঠানটি পরিচ্ছন্ন। এক কোণে একটি মাত্ৰ মাটির টবে একটি অজানা চারী; ফুল ফোটেনি। একপ্ৰান্ত থেকে আরেক প্ৰান্ত পৰ্যন্ত টাঙ্গানো লোহার তারে একটি দু'রঙ লুঙ্গি ও একটি গাঢ় হলুদ রঙের পাতলা ফিনফিনে শাড়ী শুকোচ্ছে। একটি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, জানলার পাট অল্প একটু ফাক করে একজন কেউ উকি দিচ্ছে বোঝা যায়। ওসমান তাদের অন্য ঘরটিতে, S 8.