পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>० কাজে লাগলে, সবাই মিলে একবার গেলে না কেন ম্যানেজার বাবুর কাছে, নরমভাবে বললে না কেন ম্যানেজার বাবুকে, আগের কথা মনে করে তিনি যেন রাগ না রাখেন ? মানিয়ে চলতে শেখোনি তোমরা ।” এধার থেকে ওসমান বলে উঠল, “দু’তিন মাস ধরে কেউ কিছু অন্যায় কাজ করেনি। হীরেন বাৰু। যেচে ম্যানেজার বাবুর কাছে ঘাট মানতে যাবে কেন ? হীরেন চটে গেল। —“তা যদি বলে-” ‘এবার তুই চুপ কর।” কৃষ্ণেন্দু বলল, “আর কথা বাড়িয়ে কাজ নেই আলিসা’ব। হীরেন বাবু যখন কথা দিলেন ম্যানেজার বাবু আর খারাপ ব্যবহার করবেন না, বাস, এইখানে সব কথা খতম হোক ৷” সকলে চলে যাবার পর অনেকক্ষণ গুম খেয়ে থেকে হীরেন জিজ্ঞেস করল, “এটা কোনদেশী রসিকতা হল ?” “কোনটা ?” “আমার কারখানার কুলিমজুরের কাছে আমায় অপমান করা ? “অপমান কিসের? কারখানা তোর নয়। ওরা তোর কুলিমজুর নয়। তুই \SS “আমার হয়ে সেটা বুঝি ঠিক করেছিস তুই?” ‘আমি তাই ধরে নিয়েছি।” “বেশ করেছিস। ঘরে মমতা, বাইরে তুই। বেশ বঁােদর নাচাচ্ছিাস দু’জনে আমাকে ৷” আজ আবার একগাদা মদ খেল হীরেন। সেবার হোটেল থেকে মাতাল হয়ে বাড়ী ফিরে মমতার সঙ্গে ঝগড়া করেছিল, আজ একটা বেঁটে লোকের সঙ্গে মদ খেতে গেল একটা মেয়ের বাড়ী। তিনদিন সেখানেই তার কাটল । মমতা ড্রাইভারের হাতে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়ায় তাকে উদ্ধার করে আনল। তারপর থেকে হীরেন মাঝে মাঝে মদ খায় । দিন কাটতে থাকে, হীরেনের মধ্যে মদের পিপাসা জাগবার কোন লক্ষণ দেখা যায় না । হঠাৎ এক সন্ধ্যায় পাঞ্জাবীর দু’পকেটে পোর্ট বোঝাই করে কোন এক মেয়ের ঘরে গিয়ে হাজির হয়। তাকে দেখেই মেয়েটির দু'চোখ লোভে জল জল Ο Κ.