পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शनिक @ॉइांदळी মারা যায়। তারপর অন্য কারবার লোকনাথ একাই কয়েকটা গড়ে তুলেছেন, সেগুলিতে উমাপদর কোন অংশ না থাকলেও জীবন-বীমা কোম্পানীটির সে অৰ্দ্ধেকের মালিক । কোম্পানী আরও অনেক ফেঁপেছে, বহু টাকার কারবার fify GgC রাখালের মৃত্যুর সময় উমাপদ ছোট ছিল । যতদিন পারা যায় লোকনাথ তাকে লেখাপড়া নিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন, তারপর তাকে ব্যাপৃত রেখেছেন অন্য কারবার চালাবার কাজ শিখিয়ে, দায়িত্ব দিয়ে। জীবন-বীমা কোম্পানীর ধারে কাছেও তাকে ভিড়তে দেয় নি । " সে ইচ্ছাও তার নেই। ওই একটি কোম্পানীর ভিতরের ব্যাপার তিনি উমাপদকে জানতে দিতেও চান না, পরিাচালনার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে দিতেও চান না । উমাপদ মাঝে মাঝে আজকাল একটু গম্ভীর মুখে এই কোম্পানীটি সম্বন্ধে কৌতুহল প্ৰকাশ করতে সুরু করেছে, নানা প্রশ্ন করেছে। দু’একবার আপনা থেকে কোম্পানীর আপিসে ঘুরেও এসেছে ইতিমধ্যে। লোকনাথ জানেন, একদিন এই ব্যাপার নিয়েই ভাগ্নের সঙ্গে তার বিবাদ বাধবে, উমাপদ পাওনা দাবী করবে। কিন্তু তার এখনো দেরী আছে। আরও কতকগুলি বছর তিনি উমাপদকে সামলে চলতে পারবেন। এখন অকারণে ওর স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করতে গিয়ে ওর স্বাধীন হবার প্রবৃত্তি উস্কে দিয়ে লাভ কি হবে ? তাও কুলী মজুরদের সঙ্গে একটু কড়া ব্যবহার করার জন্যে। হীরেন এটুকু বোঝে না। বুঝবার মত বুদ্ধিও তার নেই ভেবে লোকনাথের আপশোষ হয়—রাগও হয়। ভয় হয়। এই ভেবে যে সঙ্গ দোষে ছেলেটার বুদ্ধি একেবারে বিগড়ে না যায় । কৃষ্ণেন্দু আর মমতার সঙ্গে হীরেন পাটনায় এক কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিল। এসব কনফারেন্সে হীরেন কেন যায় লোকনাথের মাথায় ঢোকে না,-যারা জেল খেটেছে আর দরকার হলে আবার জেলে যাবে তাদের এই কনফারেন্সে ? তবে হীরেন কলকাতায় না থাকায় এক বিষয়ে রক্ষা পাওয়া গেছে । কাঠের গোলার ঘটনাটা নিয়ে সে নিশ্চয় বাড়াবাড়ি করত। ফিরে এসে গোলমাল করবে। কিন্তু তিনি নিজে ব্যাপারটা মিটিয়ে দিয়েছেন আর উমাপদকে আচ্ছা করে শাসন করে দিয়েছেন বলে হয়তো অল্পেই তাকে ঠাণ্ড করা যাবে। শ্ৰীপতি যে কৃষ্ণেন্দুকে টেলিগ্ৰাম করে দেবে লোকনাথের ) y