পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¥ofဈ শশাঙ্ক গাল উথলানো হাসি হাসে।-“শোনে না ? চোখ কান বুঝে শোনে। সহুরে মেয়ে নাকি যে কথা শুনবে না ? ? BDDD BDD BBDLD DBBLDLD BBBDB BBBD SS BD DD DLBD DBB DB S ভয় ও ভদ্রতার বাধায় বলতে না পারার তিক্ততা । দু’ একদিনের মধ্যে রম্ভ নাগালের বাইরে চলে যাবে,-হয়তো চিরদিনের জন্য । রম্ভ হয়তো ভাববে, কি কাপুরুষ বাবুটা, কি ভীরু ! কথাটা বলতে শেষের চিন্তাটাই তাকে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করল। দিগম্বরীর ঘরে শোয়। রাত্রে সে বাড়ী ফিরবে না । উমাপদর বেী লিলি বড় ঘুমকাতুরে। মাস আষ্টেকের একটি তার ছেলে আছে, অন্ধ ছেলে। দশটার আগেই ঘরে এসে ছেলেকে মাই দিতে দিতে দশ মিনিটের মধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়ে। উমাপদ ঘুম ভাঙ্গালে কান্নার একেবারে বন্যা বইয়ে দেয়। ছেলেটা নিজীবী, বেশী জালাতন করে না। চি চি’ করে একটু সে কঁাদলেই ঘুমের মধ্যেই লিলি আবার তার মুখে মাই গুজে দেয়। একটা দাই আছে ছেলে রাখার, কিন্তু লিলি তাকে ছেলে দিতে চায় না। ছেলে ছাড়া তার ঘুমোতে কষ্ট হয়। নেহাৎ যেদিন বেশীরকম জ্বালাতন করে, অসুখের জন্য মাই না টেনে কঁাদে, শুধু সেদিন দাইকে ডেকে এনে তার জিম্ম করে দেওয়া হয় । দাইয়ের কাছে ছেলে কঁদে কি না কঁদে লিলি বা উমাপদ , কেউ টেরও পায় না, দাইয়ের ঘর অনেক তফাতে। ঘুমের ঘোরে লিলি শুধু মাঝে মাঝে বিছানাটা হাতড়ায়। আজ লিলি ঘরে এল প্রায় সাড়ে দশটায়। নিজের খাটে চিৎ হয়ে শুয়ে উমাপদ তখন বই পড়ছে, বিলাতের নতুন যুগের এক আদর্শ বীরের কাহিনী -কপর্দকশূন্য বেকার এক তরুণ বুদ্ধি খাটিয়ে বাছা বাছ ধনী ঠকিয়ে কি করে নিজে বড়লোক হয়ে প্রতারণার চালাবাজিতে হারমানা ওই একজন ধনীর মেয়েকেই ভালবেসে বিয়ে করে সুখী হল। বইখানার একুশটি এডিসন হয়েছে -চার বছরের মধ্যে। ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখে তাকিয়ে ক্ষীণ কাতর কণ্ঠে লিলি বলল, “শুনিছ? 9. О