পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဓုကျိန်ရ “তুই আর আমি সমান ? তুই পুরুষ ? তোর মত বজাতি করতে আসি আমি ? যা বলছি। এখান থেকে, না যাবি তো তোকে আজ-? “একটু কিনে দে। তবে । ও গোপাল, সোনা মানিকট আমার, দে বাবা একটু কিনে ৷” হীরেন বিম্বফারিত চোখে তাকিয়ে থাকে। বোনপোর অশ্রাব্য গালগুলির প্ৰত্যেকটি কান দিয়ে ঢুকে মাথার মধ্যে ঝন ঝন শব্দে পরিণত হয়ে যায়। তারপর কোথা থেকে উঠে আসে লুঙ্গি পর জোয়ান এক মরদ। এক ধাক্কায় বোনপোটিকে পাচ হাত তফাতে সরিয়ে দিয়ে সে মাসীকে বলে, ‘চল যাই ।” 'डig5ों किe cा ।” কোমরে গোজা পয়সা বার করে লোকটি দু’তিনবার গোনে। পয়সা আছে মোটে তিন গণ্ডা। একটু সে ইতস্ততঃ করে। একবার চোখ বুলিয়ে নেয় স্ত্রীলোকটির সর্বাঙ্গে । তার মনের দ্বন্দ্ব যেন হীরেনের চোখের সামনে ঘটনা হয়ে ঘটতে থাকে, দুই ঘেয়ো কুকুরের মারামারির মত, দুই বেণের দরদস্তুরের মত। আরও মদ, না। এই বুড়ী ?—এ সমস্যা যেন দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে লোকটার মুখ । তীব্ৰ অসহ্য কৌতুহলে হীরেন প্ৰতীক্ষা করে থাকে। লোকটি ফোকরের কাছে গিয়ে টিনের মাগে মদ এনে বলে, ‘এক চুমুক খাই ? স্ত্রীলোকটি বলে, “আগে আমায় দে।” মগটা হাতে পেয়েই একচুমুকে সে সবটা মদ গিলে ফেলে, মুখ তুলে মগটা খানিকক্ষণ ধরে থাকে যাতে এক ফোটাও না নষ্ট হয়। লোকটি হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, কিছু বলে না। মাথা ঘুরে পড়ে যাবার উপক্রম করে স্ত্রীলোকটি সামলে নেয়, বারিকয়েক মাথায় ঝাকুনি দিয়ে লোকটির সঙ্গে মিশে যায় চারিদিকের আলোছায়া অন্ধকারে । হীরেন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলে, “কৃষ্ণেন্দুকে দিয়ে কিছু হবে না। রামপাল। ও কিসসু জানে না। এক নম্বরের বোকা ।” 'ऊाख ईं।' ‘এবার যাওয়া যাক।’ হীরেন উঠে দাঁড়াল । রামপাল নিরাশ হয়ে বলল, “আর খাবেন না ? RSV)