পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী যাবার আগে রম্ভার সঙ্গে একবার দেখা করে যাওয়া দরকার । রম্ভার মনে নিশ্চয় খুব আঘাত লেগেছে। বাপের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে প্রায় ক্ষেপে গিয়েছিল। সে ব্যবস্থা তো ভেন্তে গোলই, বেচারার ভাইটিকে পর্যন্ত পুলিশে ধরে নিয়ে গেল । জামা গায়ে দিয়ে হীরেন বেরোবার জন্য প্ৰস্তুত হচ্ছিল, দিগম্বরী এসে বলল, "ঠাকুরপো, ওঁকে তো একটা টেলিগ্ৰাম করে দিলে হয়। আজকেই ফিরে আসবার জন্যে ? “ত হয় বৈকি।” দিগম্বরী সাগ্রহে বলল, “তবে একটা টেলিগ্রাম লিখে পাঠিয়ে দিন ঠাকুরপো । ওঁর স্বভাব কি জানেন, বাড়ী ছেড়ে থাকতে পারেন না, নেশাটেশ আরম্ভ করে 6e । द७छ डोंदबा श्gbछ अभिीझ।' “ঠিকানা জানেন তো ? ঠিকানাটা দিয়ে দেবেন, যাবার সময় স্টেশনে টেলিগ্ৰাম করে দেব ।” দিগম্বরী মাথা নেড়ে বলল, “সে বড় দেরী হয়ে যাবে। হয় তো আজকে ফেরবার গাড়ী পাবেন না। এখুনি পাঠিয়ে দিন। ও বাড়ীর শাস্তুর সাইকেল আছে, ক’গণ্ডা পয়সা দিলেই যাবে।” সদরে দিগম্বরীর এক পিসীর বাড়ীতে শশাঙ্ক উঠেছে। শশাঙ্ককে আজকেই ফিরে আসবার জন্য দিগম্বরীর জোরালো তাগিদ জানানোর বাতা ও ঠিকানা প্রভৃতি একটা কাগজে লিখে হীরেন বলল, “আমি তো শঙ্কুর বাড়ী চিনি না।” “কাছেই বাড়ী। সদর থেকে দেখিয়ে দিচ্ছি চলুন।” ‘শন্তু ইংরাজী জানে তো বৌঠান ? ফর্মে সব ঠিকমত লিখতে পারবে তো ?’ “দুবার ম্যাট্রিক ফেল করেছে, ইংরেজী জানে না ! ওনার মত, আপনার মত অবিশ্যি জানে না, তবে মন্দ জানে না।” শভুকে দেখেই হীরেনের মনটা খুশী খুশী হয়ে উঠল। বছর কুড়ি বয়সের সুশ্ৰী সবল তরুণ, সুগঠিত সুন্দর দেহ। সোজা মুখের দিকে তাকায় নিলজের মত কথা বলে, কাচুমাচু করে না। “আপনার টেলিগ্ৰাম হলে এক টাকা লাগবে, দিগুদি’র হলে ছ'আনা ।” ‘ज्ञांशि दिक् ख्°द्रांक्ष रुद्नलांशा ?' “আপনি বড়লোক। আপনাকে কনসেশন দেব কেন ? RRV)