পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r नॅट হঠাৎ টানাটানি করতে তার সাহস হল না। উমাপদর মুখ দেখে আরো বেশী ভয়ে ও বিস্ময়ে সে হতবাক হয়ে গেল। প্রথম এসে উমাপদর যে মুখখানা তার এত সুন্দর আর কোমল মনে হয়েছিল। সে মুখে যেন ঝুমুরিয়ার নিতাই পাগলার মুখের ছাপা পড়েছে, চোখ দুটি অবিকল এক রকম। বিনানুমতিতে পুরুষ হঠাৎ হাত ধরেছে। এ অভিজ্ঞতা রম্ভার ছিল। কুমুরিয়ার কালীবৰ্দ্ধনও পুকুরঘাটের নির্জন গাছতলায় এর চেয়েও জোরে তার হাত চেপে ধরেছিল, তার মুখ তো এমন দেখায় নি, বরং সে মুখের তীব্র আকাজক্ষা বুকের মধ্যে নাড়া দিয়ে কয়েক মূহুৰ্ত্ত তাকে প্ৰায় অবশ করে রেখেছিল। কালীবৰ্দ্ধনের বেলা রাগ হয়েছিল, ঠেলে সরিয়ে দিয়ে বাড়ী চলে যাবার পরেও বহুক্ষণ গা BBDD BBDD BBD S gDDB BDDBDB SBDD BBS BBD DDDDS BB DDD উমাপদর স্পর্শ যেন অশুচি । উমাপদর মুখের দিকে রম্ভ আর তাকাতে পারল না। মাথা নামিয়ে আস্তে আস্তে তার হাত ছাড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । দিগম্বরী বারান্দার। এদিকের কোণের ছোট ঘরখানিতে দরজার সামনে যেন রাস্তার প্রতীক্ষাতেই দাড়িয়ে ছিল। ঘরে ঢুকেই সে জিজ্ঞেস করল, “উমা ঠাকুরপো কি বলছিল রে তোকে ?” “কিছু না।” “কিছু না কিলো ছুড়ি ? তোকে ঘরে ডেকে নিয়ে গেল দেখলাম না। নিজের চোখে ?” “শুধোচ্ছিলেন আমরা কবে যাব।” দিগম্বরী তীক্ষ দৃষ্টিতে রম্ভার মুখের দিকে চেয়ে সন্দিগ্ধভাবে বলল, “একথা শুধোবার জন্য একটা সোমখ মেয়েকে ঘরে নিয়ে যাবার দরকার । উমা ঠাকুরপোর কাণ্ডজ্ঞান নেই। সত্যি।’ দিগম্বরীকে সব খুলে বলার জন্য রাস্তার মনটা আকুলি বিকুল করছিল। কিন্তু একথা বলা যায় না। উমাপদকে খাতির করে নয়, মমতা করেও নয়। জানাজানি হয়ে বীরেশ্বরের কানে উঠলে আর রক্ষা থাকবে না। ভাগ্নেবাবুকে কীচক বধ করে হয়তো সে ফাসি যাবে। একজন তার হাত ধরেছে বলে বাপ তার ফাসি যাবে, এটা রম্ভার মোটেই সঙ্গত মনে হল না। "এত রাতে তুই যে ওপরে এলি ?” R