পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिक (iशांदकी ইয়াকুব বলে, “শুধু রাস্তার পেটে জমি ঘরদের যাবে। দু’পাশের ক্ষেত থেকে, ঘরের উঠোন থেকে মাটি তুলবে। মোর ক্ষেতের কি করেছে। দ্যাখোনি ? মাটি তুলিবি এক যাগ থেকে তোল, তা না, হেথায় হােথায় খাবলে তুলেছে। জমির দিকে চাইলে চোখে জল আসে।’ বলতে বলতে ইয়াকুব কেঁদে ফেলে হু হু করে। নাটু গোঁসাই আবার বলে, “আর ট্যাকসো তো আছে। তিনগুণ ট্যাকসো করবে। পুলিশ তাই এখন খাতির করছে ওকে। এ সুযোগ কি ও ছাড়েএই সুযোগে সব বাগিয়ে নেবে ।” এই আলোচনার মধ্যে এসে পড়ে দুটি ছেলে, বলে, “দোকান বন্ধ কর ঘনশ্যাম। আজি হরতাল । বটতলার মাঠে সভা হবে ওবেলা, সবাই যাবে। বঁাচতে যদি, uDLS DB BB DBBDBBD DDDBS BBBSS DBSDBB BB LDS DBD BDD DDLDDS এবার, নইলে সবাই মরবে। তোমাদের বঁাচাতে যারা লড়ছিল, তারা নেই এবার তোমাদের লড়তে হবে• • •” আবদুল হাই বলে, “না। কাদের, হিন্দু মেছলমানের বাত এতে উঠবে না । ঢের মোছলমান মার খেয়েছে। জালালুদ্দীন মিঞার ব্যাপারে মোরা চুপচাপ রইলাম, তাতে একটু বিগড়ে আছে সবাই। এবার জবরদস্তি চলবে না, বারণ ভি করা হবে না। যার খুশী যাক ৷” হাফিজ আলি সায় দিয়ে বলে, “ঠিক বাত। হাঙ্গামা হবে তো উপায় কি ? আবদুল হাই-এর স্নিগ্ধ মোলায়েম মুখের দিকে চেয়ে কাদেরের বুক একটু কেঁপে যায়। জালালুদ্দীনের বিরুদ্ধে সে সাক্ষী দেয় নি। সত্য, বীরেশ্বরের বিরুদ্ধে দিয়েছিল। কিন্তু লোকের মনে যেভাবে এক সাথে মিলে গিয়েছে বীরেশ্বর আর জালালুদ্দীনের নাম, ও পার্থক্যটা কি খেয়াল থাকবে কারো ? ধনা ও মনার সঙ্গে কেউ আর তফাৎ করবে না, তার স্বধৰ্মীরাও নয়। গায়ের মোছলমানরা। যদি তার বিপক্ষে যায়, আবদুল হাই কি আর তার পক্ষ নেবে। কাদের বাড়ী যায়। বাড়ী থেকে বিদায় নিয়ে রওনা হয় সদরের উদ্দেশ্যে। শস্থ এসে রন্ডাকে বলে, “এমন করে বসে কেন তুমি ? কাজের সময় মুখ হাড়ি করে বসে থাকতে বুঝি শিখিয়েছিল। সূৰ্যদা ? ‘আমি কি করব শঙ্কু ? RV7