পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिक शंह्वांतर्कौ তাড়াতাড়ি একটা চিটি লিখে সে হেরম্বের কাছে পাঠিয়ে দেয়। অবস্থা গুরুতর, হেরম্ব যেন তৎক্ষণাৎ তার লোকদের সভায় হাঙ্গামা বাধাতে বারণ করে নির্দেশ পাঠায়, নইলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। চিটি পড়ে হেরম্ব মনে মনে হাসে । শৈলেন ভয় পেয়ে গেছে ? শুরুতর হাঙ্গামাই তো সে চায়! হাঙ্গামা হোক, লাঠি। আর গুলি চলুক, গণ্ডায় গণ্ডায় জখম হোক আর মরুক, শৈলেন আর দু’চারটি পুলিশ যদি খুব হয় তো আরো ভাল, পুলিশে গা ছেয়ে যাক, দলে দলে ধরা পডুক, এমন শিক্ষা পাক যেন চিরদিনের জন্য বাছাধনের ঠাণ্ডা হয়ে যায়, মাথা তুলতে আব नांशेन न * ।। বটতলার মাঠ থেকে হাজার কণ্ঠের জয়ধ্বনি অস্পষ্ট ভেসে আসে। ভরা বন্দুকের মসৃণ নলে হাত বুলিয়ে হেরম্ব গ্লাস মুখে তোলে। সূৰ্য যখন ডুবু ডুবু হেরম্বেরই গাইতি কোদাল শাবল দিয়ে তৈৰী রাস্তা থোড়া আরম্ভ হল, পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল তার লৱী আর তাঁবুতে, বন্দুকের গুলি খেয়ে হেরম্বের হাতের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে রামপাল মরে গেল, হেরম্বকে বঁাশ দিয়ে চেপে ধরে পোড়ানো হল তার বাড়ীর দক্ষিণের চালাঘরের আগুনে। সন্ধ্যার অন্ধকারে আগুন ধরল বীরেশ্বর ও ঝুমুরিয়ার আর পাঁচটি বাড়ীর চালায়। একদল লোক গিয়ে পাচনিখের থানা পুড়িয়ে এল। শৈলেন আগেই বটতলার মাঠে মারা গিয়েছিল । সভায় আরও মরেছিল। তেরজন লোক আর দু’জন পুলিশ। তার মধ্যে ছিল জগৎ দাসের ছেলে শিশু। জখম হয়েছিল বহুলোেক - দু’দিন পরে আরিফ ও মমতা ঝুমুরিয়া স্টেসনে নামল। নরেশের খোজ নিতে পরেশ এবং কৃষ্ণেন্দুর খোজ নিতে পূর্ণেন্দু তাদের সঙ্গে এসেছে। ঝুমুরিয়া ও আশেপাশের গায়ের কয়েকজন সদরের গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিল, বাপ দাদা ভাই ছেলের জামিনের জন্য সদরে গিয়ে চেষ্টা করবে। তাদের মুখ মান, বিষন্ন। “মিছে যাচ্ছেন। বাইরের লোককে গাঁয়ে যেতে দিচ্ছে না ।” * আরিফ বলে, “দেখি চেষ্টা করে।’ কাগজে সংক্ষেপে খবর বেরিয়েছিল, ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ এদের কাছে জানা 奥 爵 R 8e