পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'यांबिक इांदत्रौ তার বিশেষ ছিল না। এ লোকটার লজ্জাসরাম নেই, কেলেঙ্কারির ভয়ও বোধ হয় বিশেষ করে না। শশাঙ্ক আর দিগম্বরী এর দলে জুটে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এ এখন ধীরে সুস্থে যা খুশী করে যাবে। সে অবশ্য সহ করে যাবে যতক্ষণ পারে, কিন্তু তারাও তো একটা সীমা আছে । বন্ধ ঘরে এ যখন তাকে এক পেয়েছে, কতক্ষণ আর লাগবে সে অবস্থার সৃষ্টি হতে যখন গোলমালের ভয়ে চুপ করে থাকলে তার চলবে না! ভয় দেখাবে ? উমাপদকে ভয় দেখিয়ে দেখবে কি হয় ? এইসব ভাবছে রাস্তা, শিকল খুলে দিগম্বরী ঘরে ঢুকাল। সমস্ত ষড়যন্ত্র সমস্ত কদৰ্য্যতা হাল্কা হাসিতে শূন্যে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে বলল, “চটলেন ঠাকুরপো, বৌদির তামাসায় ?” উমাপদ বলল, “না ।” দরজার বাইরে থেকে শশাঙ্ক চাপা গজন করে ডাকল, “শুনছো ? বাইরে e os o দিগম্বরী বলল, “ঠাকুরপো বসুন।” শশাঙ্ক আবার ডাকল, “এই ! শুনে যাও বাইরে-শুনে যাও বলছি।” দিগম্বরী প্ৰাণপণে হাসবার চেষ্টা করে বলল, “কি হল ঠাকুরপো, বসুন না ?” তখন উমাপদ নিঃশব্দে বেরিয়ে গেল। শশাঙ্ক ঘরে ঢুকেই দিগম্বরীর গালে বসিয়ে দিল একটা চড়। রম্ভার দিকে তাকিয়ে দিগম্বরী ধমকে উঠল, “কি দেখছিস ই করে ? পালাতে পারিস নে বোকা হাবা ছুড়ি ? বেরো বোরো আমার ঘর থেকে ৷” শশাঙ্ক আবার চড় মারে আর বলতে থাকে, “তোর তাতে কি ? তোর डांड कि ५agन) coicब्ल] ट्रांज्ञाभछां िभांशि ? দিগম্বরী তাকে বোঝাবার চেষ্টা করে, “তোমার অকল্যাণ হবে যে গো । এ পাপ তোমার সইবে না, অকল্যাণ হবে তোমার।” নত হয়ে শশাঙ্কের পায়ে হাত দিয়ে বলে, “আমায় মেরে ফ্যালো, আমি পারব না ।” | শশাঙ্কের লাথি খেয়ে সে মেঝেতে একটা গড়ান দিয়ে ওঠে । গায়ে লেগে কাসার পিকদানিটা যায় উন্টে। সঞ্চিত পানের পিক মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ায় মনে হয় যেন রক্তারক্তি হয়ে গেল। শশাঙ্কের চোখ পিটু পিটু করে। বিছানায় উঠে উল্টানো পিকদানিটার Subም