পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী খবরাখবরের আদানপ্ৰদান চলিতে থাকে, মোহনের জন্য চা আসে, দেয়ালের দামী ঘড়িতে কোমল ক্লান্ত আওয়াজে ধীরে ধীরে দশটা বাজে, সময়ের 6शन डigांडांड्टि नांश् । সন্ধ্যার কাছে একটা খবর কি চিন্ময় পাঠাইবে না ? এবেলা তাকে এখানে খাইয়া যাইতে বলিবে না একবার ? শুধু এক কাপ চ্য। আর খাবারে তার অভ্যর্থনার শুরু ও শেষ হইবে ? শেষের দিকে চিন্ময়কে কেমন অন্যমনস্ক মনে হইতেছিল, তারপর সে সময় বলে, “এমন অসময়ে তুমি এলে মোহনা! এখুনি নেয়ে খেয়ে আমায় আপিস ছুটিতে হবে।” “ও, আচ্ছা তা’হলে উঠি ।” নিজের বোকামির জন্য মনোমোহনের আপসোসের সীমা থাকে না । ‘এবার তুমি বিদায় হও’ বলিবার সুযোগ চিন্ময়কে দেওয়ার আগেই অবস্থা বুঝিয়া তার নিজেরই বিদায় নেওয়া উচিত ছিল। চিন্ময় কিন্তু ছাড়িতে চায় না, বলে, “আরে, বোসে বোসে । তোমার এত তাড়া কিসের ? তোমার তো আপিস নেই। যতক্ষণ সময় আছে একটু গল্প করা যাক ৷” মনোমোহন উঠিয়া দাড়াইয়াছিল, আবার বসে। এদের সঙ্গে কোনোদিন সে নিজেকে খাপ খাওয়াইতে পরিবে না । এরা নিজেরাই ইঙ্গিতে জানায় আপিস যাওয়ার তাগিদ আছে, এবার তুমি বিদায় হও, আবার উঠিতে গেলে আশ্চৰ্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করে, এত তাড়া কিসের । কয়েক মিনিট পরে নিজেই সে আপিসের কথাটা মনে করাইয়া দেয় । চিন্ময় বলে যে চুলোয় যাক আপিস, সে কি কেরানী যে লেট হইলে বড়বাবু গাল দিবে ? বিশেষ একটা দরকারী কাজ আছে তাই না গেলে চলিবে না, নয় তো এতদিন পরে তাদের দেখা হইয়াছে, আজ কি আর চিন্ময় আপিস যাইত ? শুনিয়া মনোমোহন আবার দমিয়া যায়। আগাগোড়া বিচারে যেন ভুল হইয়া যাইতেছে। চিন্ময় তবে তাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আপিসের তাগিদ জানায় নাই, অনেকক্ষণ তার সঙ্গে কথা বলিতে পরিবে না বলিয়া আপসোস প্ৰকাশ করিয়াছিল ? যে কোন ছুতোয়