পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্রন্থাবলী ন্যাকামিকে প্রশ্ৰয় দিতে ভালোবাসি না। তাছাড়া, বাৰ্থ কণ্টোল আমার অতি कार्षि7 भcन श् ।' “তুমি কদৰ্য্য ভাবলেই তো নোসেসিটি কথা শুনবে না। সভ্য জগতের দরকার, তাই ওটা চল হয়ে গেছে । আমাদের গ্রামে নিতাই বলে একজন ডাক-পিয়ন আছে । দশ বার বছর বিয়ে করেছে, ছেলেমেয়ে ছ’টি । খেতে দিতে পারে না । একদিন পাগলের মত ছুটে এসে আমাদের হাসপাতালের—” | “তোমার হাসপাতাল আছে নাকি ?” “বাবা একটা করেছিলেন ছোটখাটো । আরও দশ গুণ বড় একটা দরকার, কিন্তু করে কে ? বাবার ও অতি পয়সা ছিল না, আমারও নেই।’ মোহন একটু হাসে, “নিতাই এসে হাসপাতালের ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে গেল। পেটের নতুন ছেলেটাকে পেটেই মারবার জন্য বৌকে কি যেন সব খাইয়ে দিয়েছিল, বৌটা নিজেই মরতে বসেছে। তাকে বাচাবার ব্যবস্থা করে ডাক্তার আমার পরামর্শ নিতে এল, নিতাইকে পুলিশে দেবে কি না। আমি বললাম, ন, ওকে বার্থ কণ্টোল শিখিয়ে দিন। এ হ’ল বছর দুই আগের কথা। কিন্তু শেখালে কি হবে, ওসব কি ধাতে পোষায় নিতাইদের ? আরেকটি বাচ্চ হয়েছে নিতাই-এর বৌয়ের-এবার আর কোন গোলমাল করে নি। ডাক্তার আচ্ছা করে ধমকে দিয়েছিল। কিন্তু নিতাই বলে অন্য কথা।” “কি বলে ?” ‘বলে, না বাবু, ও সব ভাল, নয়। জীব দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন। তিনি। আমি বললাম, তবে সেবার ওরকম করতে গিয়েছিলি কেন ? বৌটা মরত নিজে জেল খাটতিস! নি। তাই বলল, অত বুঝিনি বাবু। ছেলেপিলে কটার দশা দেখে মরিয়া হয়ে পাপ করেছি।” “আমার ছেলেমেয়েকে খেতে পরতে দেবার ক্ষমতা আছে।” চিন্ময় বিরক্ত হইয়াছে। সন্ধ্যার সম্বন্ধে এত বড় গুরুতর কথা আলোচনা করার সময় গ্রামের নিতাই পিয়নের গল্প আরম্ভ করা বোধ হয় তার উচিত হয় নাই । কিন্তু গ্রামকে, গ্রামের সরল শান্ত জীবনকে ভালোবাসিতে গেলে নিতাই পিয়নের সমস্যাটা তুচ্ছ করা যায় কেমন করিয়া ? গ্রামের মানুষের দুঃখ দারিদ্র্য রোগ শোক অশিক্ষা কুসংস্কার এসব বাদ দিয়া গ্ৰাম্য জীবন কল্পনা করা যায় কি। कझिी ॥ . R. Ne