পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांत्रिंक jक्षांदर्जौ শুধু স্পষ্ট হইয়াছে, মােটা হয় নাই। ' অন্য এক যুগের স্বপ্ন সামঞ্জস্য হারানোর ভয়ে কবি ও শিল্পীর মারফতেও কল্পনা যে সীমা ছাড়াইয়া যাইতে পারে নাই, ঝরণা যেন সে সীমাকেও অতিক্ৰম করিয়াছে। ঝরণা নিজের সম্বন্ধে খুব সচেতন। না হইয়া উপায় কি ? তার বিপদ কেউ বুঝিবে না। ঝরণার হাসি মিলানো মুখ ও কঠিন দৃষ্টির তিরস্কারে হঠাৎ সচেতন হইয়া মােহন তাড়াতাড়ি অন্যদিকে চাহিয়া সিগারেটের জন্য পকেট হাতড়াইতে আরম্ভ করে । লজ্জায় তার কান গরম হইয় ওঠে। গ্রামে পুকুরঘাটে একটি স্ত্রীলোক গলা পৰ্য্যন্ত জলে ডুবাইয়া অসভ্য অবিবেচক মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতেছে, সহরে ভাবে সেই রকম একটা কুৎসিত কাণ্ড যেন ঘটিয়া গেল। চুপ করিয়া থাকা আরও ভয়ঙ্কর। লীলাকে সে জিজ্ঞাসা করে, “আপনার মা ভাল আছেন ? লীলার গলা খুব মৃদু, অতি ধীরে ধীরে সে কথা বলিত। এখনাে তার কথা যেন দূর হইতে ক্লান্ত হইয়া কানে আসিয়া পৌছায়, কেবল তার নিঃশব্দ ক্ষীণ হাসিতে ধারালো দুষ্টামি আছে মনে হয় ! ‘মা ভালই আছেন। আমি খুব বুড়ী হয়ে পড়েছি, না ? ঝরণার মত আমাকেও তুমি বলতেন, আজ যেন আপনি হয়ে গেছি মনে হচ্ছে ?” আর একটু হইলেই বুদ্ধিমানের মত জবাব দেওয়ার কথাগুলি ফস্কাইয়া যাইত, জড়াইয়া জড়াইয়া হয়তো মোহন বলিয়া বাসিত, ‘না না, তা নয়, তা নয়-” লীলার চেনা হাসি হঠাৎ তাকে প্রেরণা জোগায়, সে বলে, ‘’ছ’ফুট একজনকে সঙ্গে এনেছ, হঠাৎ তুমি বলতে কি সাহস হয় ?” সকলে হাসে। । ঝরণা বলে, “আমায় খোচা দেওয়া হল। আজ পৰ্যন্ত পাচ ফুট একজন श्रृङ्कम স্বন্তি বোধ করে। খুশীও হয়। গ্রামের স্ত্রীলোক গালাগালি দেয়, করে নীরবেই। এরা চোখের দৃষ্টিতে শাসন করে আবার ক্ষমাও कम्म:।' প্ৰৱে’লৈ চিন্ময়কে ব্যাপারটা বলে। সরলভাবে প্রাণ খুলিয়া বলে। ' ' $ ዓb”