পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांत्रिक अंशांवली পিসী জেগে ছিল। রম্ভ ডাকতেই উঠে দরজা খুলে দিল। বীরেশ্বর ঘুমিয়ে পড়েছিল, তার ঘুম ভাঙ্গল না। শুয়ে পড়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাস্তাও चूभ८ *फ़्व्न । কালীতারা 'রেলিং ঘেষে দাড়িয়ে থাকে, মুখ উচু করে আকাশের দিকে চেয়ে । রাস্তার বেয়াদপিতে তার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। সামান্য একটু আঘাত পেলেই নিজের জন্য কালীতারার কান্না পায় । খানিকট সীমাবদ্ধ আকাশে কিছু ছড়ান সাদা মেঘে জ্যোৎসার ছোয়াচ দেখতে দেখতে সে যেন হৃদয় জুড়ে ছেড়া ছেড়া হালকা ব্যথার অস্তিত্ব স্পষ্ট অনুভব করে । চোখ দু'টি তার সজল হয়ে আসে । ওপরে উঠে এসে এদিক ওদিক চেয়ে সুখলাল সন্তৰ্পণে কালীতারার অন্ধকার ঘরে ঢুকে পড়েছিল। খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে কালীতারাকে তন্ময় দেখে বেরিয়ে এসে তার বাহুমূলে আস্তে টোকা দিল । 'अस्त्रि श्ा । श्ा दब्जछि ।' কালীতারার গলা আবেগের শ্লেষ্মায় ভেজা । চোখ তার চাদমাখা ওপরের চাদোয়ায়। মুখ তার ঈষৎ ফাক হয়ে আছে, যেন ওপর হতে সুধার ধারা মুখে ঝরে পড়বে তারই তৃষ্ণাৰ্ত্ত প্ৰতীক্ষায়—কাত করা শিশি থেকে রোগীর হা করা মুখে ওষুধ ঝরে পড়ার সেই বিজ্ঞাপনের ছবির মত। সুখলালের দিকে সে চেয়েও দেখল না । সুখলাল চকিতে উধাও হয়ে গেল । কালীতারা তন্ময় হয়ে দাড়িয়ে উপভোগ করে চলল তার ভাবাবেগ । সে মাঝবয়সী। তার দেহ মোটা। অন্তহীন অবসরের মৃদু সৌখীন একটানা ঘষায় মনের তার ছালচামড়া উঠে গেছে। অনেককাল, তার আত্মদর্শনে কঁচা মাংসের লালিমা । কোথায় গেলে কি করলে তাকে পাওয়া যায় যিনি জীবনদেবতা-এ ব্যাকুলত একবার জাগলে আর রক্ষা নেই, কালীতারার নেশা ধরে যায়। এবং নেশা একবার ধরলে চড়াচড়, করে নেশা চড়তেই থাকে। প্ৰায় যখন আর সইছে না। কালীতারার, তখন হঠাৎ সে নীরোনের বঁাশী আর সোমনাথের সাধন সঙ্গীত সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওঠে। গটগট করে। নীরোনের ঘরে গিয়ে হাত থেকে বঁাশীটা ছিনিয়ে নিয়ে গালে একটা চড় বসিয়ে দেয় । 'शंज्ञांश ब्रख्या ऐळे द्रवि ? VOR