পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী তার নালিশ ! মৃন্ময়ের জন্য হয়তো ঝরণার মনে গভীর দুঃখ আছে। মানুষের চোখে চোখে তাকানোর ভয়ে ভাইটি ঝরণার সব সময় আড়াল খোজে। ঝরণা কি সেজন্য দোষী করে চিন্ময়কে ? বড় ভাই সাজিয়া থাকিয়া চিন্ময় তার ভাই-এর বিকাশোন্মুখ মনকে কেঁকড়াইয়া দিয়াছে ? মোহন বিশ্বাস করিতে পারে না । 'भिक्र कि qश्खशु qऊ नार्डन शश(छ ?' ঝরণার মুখ লাল হইয়া গেল। বুঝা গেল, ভাই-এর জন্য মনে মন্মে তার লজা আছে। “মিনু ? ওর কথা আলাদা । ছেলেবেলা থেকেই মিনু ওরকম, গ্ল্যাণ্ডের দোষ আছে। চিকিৎসা হচ্ছে, সেরে যাবে । ওকে নিয়ে আপনার মাথা ঘামাতে, হবে না ।” সেদিন সন্ধ্যাবেলা মোহন জগদানন্দের কাছে তার ছোট ভাই-এর ইতিহাস শুনিল। তারা তিন ভাই । ছোটজনেব নাম নয়নানন্দ । এখনো সে বঁাচিয়া আছে- শুধু বাচিয়া আছে। গঙ্গার ধারে একটি বাড়ীতে বিছানায় শুইয়া তার দিন কাটে। অৰ্দ্ধেক অঙ্গ অবশ্য হইয়া গিয়াছে, উঠিতে পারে না। নাস তার সেবা করে, বৌ অনেকদিন আগেই বিষ খাইয়া, মরিয়াছে। ভোতা মস্তিষ্কে বাহিরের জগৎ অতি ক্ষীণ সাড়া তোলে, সময় সময় মনে হয় সেটুকু বাহাজ্ঞান ও বুঝি নাই। জগদানন্দ যদি কখনো যায়, যদি জিজ্ঞাসা করে, কেমন আছিস ? অর্থহীন অভ্যস্ত হাসির একটু আভাস হয়তো কখনো ঠোঁটের কোণে ফুটিয়া ওঠে, কখনো মুখের দিকে চোখ মেলিয়া চাহিয়া থাকে, পলক পড়ার বদলে চোখের পাতা শুধু কঁপিয়া কঁপিয়া ওঠে । “কদাচিৎ দেখতে যাই । সহস্থ হয় না ।” তবু জগদানন্দ চায় না। সে সুস্থ হইয়া উঠুক ! কোন রকমে বিছানা ছাড়িয়া উঠিবার ক্ষমতা হইতেই আবার আত্মঘাতী তাণ্ডব শুরু করিয়া দিবে, ভাল করিয়া সারিয়া উঠিবার জন্যও অপেক্ষা করিবে না । আরেকবার তিন মাস ভুগিয়াছিল, জগদানন্দ কাছে আনিয়া রাখিয়াছিল। Nev