পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী বাহিরের ঘরে মোহন ভাবে ; এতক্ষণ আমায় বসিয়ে রেখেছে সন্ধ্যা ? আর কেউ কি বাড়ীতে নেই ? সকালে কেউ কি বাইরে আসে না ? আরও খানিক পরে সন্ধ্য আসিয়া বলিল, “এই যে আমার মোহন । আমার अनभ6शद्ध 6शांश् ।' সামনে আসিয়া ডান হাতটি তুলিয়া দু'হাতে मूर्छा করিয়া ধরিল। ভিজা ভিজা ঠাণ্ডা হাত দুটি সন্ধ্যার, গায়ে সাবানের সুবাস। প্রসাধন না করিয়াই আসিয়াছে। i “এসেছে তা’ হলে ?” \ সন্ধ্যা খুশী হইয়াছে। সহজ হাসি, কথা আর দুর্লভ অন্তরঙ্গত দিয়া সন্ধ্যা তাকে অভ্যর্থনা করিয়াছে। এর মধ্যে ফাকি কিছু নাই, সবটাই আন্তরিক। তবু মোহন যেন আশা ভঙ্গের আঘাতে একেবারে নিভিয়া গেল। সন্ধ্য আশ্চৰ্য্য হইয়া গেল না, এতটুকু তার উত্তেজনা জাগিল না, কি বলিয়া কথা আরম্ভ করিবে ভাবিয়া বিব্রত হইয়া পড়িল না, এমনভাবে তাকে গ্ৰহণ করিল যেন বহুকাল পরে জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবত্তন ঘটিবার পরে তাদের দেখা হয় নাই, যেন কালও সে আসিয়াসিল! সন্ধ্যা তার সঙ্গে শুধু ভদ্রতা করিবে, শুধু জিজ্ঞাসা করিবে, কেমন আছে, কোথায় আছে, কি করিতেছে—এসব ভাবিয়া আসিলে বিনা ভূমিকায় তাকে এভাবে কাছে টানিয়া নেওয়ার জন্য হয়তো সে কৃতাৰ্থ হইয়া যাইত। অনেক বিচিত্ৰ নাটকীয় ব্যবহার কল্পনা করিয়া আসিয়া এমন আবেগহীন সহজ অভ্যর্থনা কি ভাল লাগে ? “কেমন আছ সন্ধ্যা ? সন্ধ্যা হাসিয়া ফেলিল—‘ওসব নয় মোহন । ভাল লাগে না । দেখতে পাচ্ছে भl cकभन्न अछि ? * তবু যেন মোহন হার মানিবে না, দীর্ঘ আদর্শনের ব্যবধানকে গায়ের জোরে খাড়া করিয়া রাখিয়া ধীরে ধীরে সে ব্যবধান অতিক্রম করার বৈচিত্ৰ্য উপভোগ করিবে । ‘রোগ হয়ে গেছ ।” তখন সন্ধ্যার বোধ হয় মনে পড়িয়া যায় যে ঠিক এই রকম একগুয়েমি করিয়া আগেও মোহন তাকে মাঝে মারে পাগল করিয়া তুলিত, আবদেরে ছোট \0) R